উত্তরবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

পাঁচ বছরের মধ্যে তফসিলি জাতি-উপজাতির জন্য ২০ লক্ষ ঘর: মমতা

February 16, 2022 | 2 min read

আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের জন্য ২০ লক্ষ ঘর বানাবে রাজ্য সরকার। সংস্কার করা হবে মাটির বাড়িগুলিও। গড়া হবে ৭০০টি স্কুল। সেখানে তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারা অলচিকি, নেপালি, হিন্দি, কামতাপুরি, কুরমালি ও ইংরেজি ভাষায় পঠনপাঠনের সুযোগ পাবে। মঙ্গলবার উত্তরকন্যায় আদিবাসী উন্নয়ন সমিতির দ্বিতীয় বৈঠক শেষে এ কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিলিগুড়ি সহ চারটি পুরসভার নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল সাফল্যের পরেই মুখ্যমন্ত্রীর এমন ঘোষণায় উচ্ছ্বসিত বিভিন্ন মহল। তবে রাজনৈতিক মহলে সবথেকে বেশি চর্চা চলেছে বৈঠকে বিজেপি নেতাদের উপস্থিতি নিয়ে। গেরুয়া শিবিরের তরফে এদিন উত্তরকন্যায় হাজির ছিলেন মালদহ উত্তরের এমপি খগেন মুর্মু ও প্রাক্তন এমপি দশরথ তিরকি। তাঁদের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের জল্পনাও শুরু হয়। যদিও খগেনবাবু জানিয়েছেন, ‘রাজ্য সরকার আমন্ত্রণ জানানোয় বৈঠকে ছিলাম। এর সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রশ্ন অবান্তর।’ আমন্ত্রণ পেয়েও ব্যক্তিগত কাজে কলকাতায় থাকায় বৈঠকে গরহাজির ছিলেন বিজেপি বিধায়ক তথা বিধানসভায় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা।

তিনদিনের সফরে সোমবারই উত্তরবঙ্গে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন দুপুরে কোচবিহার যাওয়ার আগে উত্তরবঙ্গের মিনি সচিবালয়ে আদিবাসী উন্নয়ন সমিতির বৈঠকে তিনি অংশ নেন। ২০২১ সালে এই কমিটি পুনর্গঠিত হয়। চেয়ারম্যান স্বয়ং মমতা। ২০২১ সালের ২৩ আগস্ট নবান্ন সভাঘরে কমিটির প্রথম বৈঠক হয়েছিল। এদিন উত্তরকন্যার সভাঘরে বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০১১ সাল থেকে আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য প্রচুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তৈরি হয়েছে একাধিক আদিবাসী স্কুল, কলেজ। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য নতুন করে ২০ লক্ষ বাড়ি তৈরি করা হবে। নতুন করে কিছু প্রস্তাবও এসেছে। দ্রুত সেগুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে সরকার।’

এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও হাজির ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণমন্ত্রী বুলুচিক বরাইক সহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী। বৈঠক শেষে সংশ্লিষ্ট কমিটির তরফে জানানো হয়, ‘২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে রাজ্যে আদিবাসী মানুষের সংখ্যা ৫২ লক্ষ ৯৭ হাজার। সে বছর বাজেটে আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ১৮০ কোটি টাকা। ২০২১-’২২ আর্থিক বছরে সেই বরাদ্দের পরিমাণ ছ’গুণ বাড়িয়ে করা হয় ১,১২০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে জয় জোহার প্রকল্পে ষাটোর্ধ্ব ২ লক্ষ ৮০ হাজার আদিবাসীকে মাসে ১০০০ টাকা করে পেনশন দেওয়া হচ্ছে। ১০ বছরে ১ কোটি ৫১ লক্ষ কাস্ট সার্টিফিকেট বিলি করা হয়েছে। খাদ্যসাথী প্রকল্পে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য বিলি করা হচ্ছে। সাঁওতালি মাধ্যমের ৩০৫টি প্রাথমিক স্কুল চালু করা হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Mamata Banerjee, #Scheduled Castes, #Scheduled Tribes

আরো দেখুন