সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি দেওয়াল লিখনে জমে উঠেছে পুর প্রচার
‘ধর্ম যেদিন ক্লান্ত হবে, ব্যর্থ হবে সকল ভয়/বুঝবে খিদে ভাতেই মেটে, বাইবেল কোরান গীতায় নয়…’। দেওয়ালে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রত্যয়ী বার্তা। আবার কোথাও দেওয়াল জুড়ে আঁকা ছবিতে শহরকে পরিষ্কার রাখার আবেদন। উলুবেড়িয়ায় পুরভোটের প্রচারে ইতিউতি দেখা যাচ্ছে এই ছবি। শাসকদলের দেওয়াল লিখন। স্বাভাবিকভাবে অন্য অনেক ক্ষেত্রের মতো এখানেও বিরোধীদের থেকে অনেক এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে ইট-সিমেন্টের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলি জোরদার প্রচার করছে ফেসবুকের দেওয়ালেও। সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, টুইটার এবং ইনস্টাগ্রামও রয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মত, প্রচারে সোশ্যাল মিডিয়াকে টেক্কা দিচ্ছে দেওয়াল লিখন। ইতিমধ্যে শিল্পীদের হাতের ছোঁয়ায় পাড়ায় পাড়ায়, অলিতে গলিতে, শহরের রাজপথের পাশের বাড়ির দেওয়াল ভরে উঠেছে রাজনৈতিক দলের প্রতীকের পাশাপাশি প্রার্থীদের নামে। সেখানে জ্বলজ্বল করছে শাসকদলের উন্নয়নের খতিয়ান। রয়েছে বিরোধীদের অভিযোগ আর প্রতিশ্রুতি। ভোটদাতারাও রাজনৈতিক দলের দেওয়াল লিখন তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছেন। সাধারণ মানুষের মতে, সারা বছর তো ফাঁকা দেওয়াল দেখে অভ্যস্ত। তাই দেওয়ালে মাঝেমধ্যে রাজনৈতিক তরজা দেখতে মন্দ লাগছে না। তবে সকলের একটাই অনুরোধ, এখন যে উৎসাহ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি দেওয়াল লিখছে, ভোটের পরে যেন সেভাবেই সেগুলিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
সোশ্যল মিডিয়ার তুলনায় দেওয়াল লিখনে খরচ একটু বেশি। তবুও রাজনৈতিক দলগুলি দেওয়াল লিখনের দিকেই বেশি ঝুঁকছে। এই প্রসঙ্গে হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ভোটারদের পক্ষে সবসময় মোবাইলে চোখ রাখা সম্ভব নয়। কিন্তু দেওয়াল লিখনে প্রার্থীদের নাম ভোটাররা সব সময়েই দেখতে পাচ্ছেন। সেই কারণে খরচ বেশি হলেও দেওয়াল লিখনকেই আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি।
পুরসভার ২৬ নং ওয়ার্ডের বাম প্রার্থী সাদিয়া পারভিন জানান, দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে ভোটের প্রচার একটি প্রাচীন পরম্পরা। আমরা তাই দেওয়াল লিখনের উপরেই জোর দিয়েছি। অন্যদিকে, বিজেপি নেতা রমেশ সাঁধুখার বক্তব্য, প্রচারে খুব সহজে মানুষের কাছে পৌঁছনোর জন্য দেওয়াল লিখনের বিকল্প কিছু নেই। সেই কারণে আমরাও দেওয়াল লিখনের উপর জোর দিয়েছি।