করোনা থেকে মুক্তির পথে দেশ, রাজ্যগুলিকে বিধি শিথিল করতে বলল কেন্দ্র
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (Union Health Ministry) বক্তব্য, গত ২১ জানুয়ারি থেকেই দেশজুড়ে নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে করোনার গ্রাফ। একটা সময় যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা তিন লক্ষের উপরে উঠে গিয়েছিল, গত সপ্তাহে সেটাই গড়ে ৫০ হাজারে নেমে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজারের সামান্য বেশি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিমানযাত্রীদের জন্য জারি করা বিধিনিষেধ শিথিল করেছে।
এবার রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রকেরও উচিৎ গত কয়েকমাসে যে বাড়তি বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল, সেটা তুলে দেওয়া। স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলছে, গত কয়েক মাসে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বেশ কিছু রাজ্য বিমানবন্দর (Air Port) এবং সীমানাগুলিতে অতিরিক্ত বিধিনিষেধ জারি করেছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করাটা যেমন জরুরি, তেমনি মানুষের চলাফেরা এবং অর্থনৈতিক কার্যকলাপ চলাটাও জরুরি। তাই রাজ্যগুলি বিধি নিষেধ পুনর্বিবেচনা করুক। তবে আগের মতোই টেস্টিং, ট্র্যাকিং এবং টিকাকরণে (Corona Vaccination) জোর দিতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে। অর্থাৎ, ভারত যে মহামারীর শেষের দিকে চলে এসেছে কেন্দ্রের এই নির্দেশিকাতেই সেটাই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই।
প্রসঙ্গত, বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৬১৫ জন। যা গতকালের তুলনায় প্রায় ১১ শতাংশ বেশি। তবে স্বস্তি দিয়ে একলাফে অনেকটা কমেছে অ্যাকটিভ কেস। বর্তমানে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৭০ হাজার ২৪০। এই মুহূর্তে ভারতে করোনা পজিটিভিটি রেট কমে ২.৪৫ শতাংশ। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় শিথিল হচ্ছে বিধিনিষেধ। দু’বছর পর আজ থেকে বাংলায় খুলে যাচ্ছে প্রাথমিক স্কুলও।