শুধু ‘ডিস্কো কিং’ না মেলোডি কিংও ছিলেন বাপ্পি
যদি বলেন অলোকেশ লাহিড়ীকে চেনেন, বেশিরভাগ মানুষই হাঁ করে তাকিয়ে থাকবেন। সেই একই ব্যক্তিকে যদি জিজ্ঞাসা করেন, আচ্ছা বাপ্পি লাহিড়ীকে চেনেন? সঙ্গে সঙ্গে উত্তর পাল্টে যাবে। অন্তত গোটা দেশে তো বটেই। দেশের বাইরেও তাঁকে মানুষ এই নামেই ডাকতেন, বাপ্পি দা।
জখমি-র গান হিট হওয়ায় ধীরে ধীরে পরিচিত পেতে শুরু করেন গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডর অধিকারী বাপ্পি লাহিড়ী। বাপ্পি-মিঠুনের যুগলবন্দি দেশে এক নতুন ট্রেন্ডের জন্ম দেয়, ডিস্কো। ডিস্কো ডান্সার থেকে শুরু হওয়া সেই ট্রেন্ড রাতারাতি গোটা দেশকে ভাসিয়ে দিয়েছিল। কম্পোজ করা তো বটেই, তার সঙ্গে গানেও জাদু ছড়িয়েছিলেন বাপ্পি। ‘ইয়াদ আ রাহা হ্যায়… তেরা প্যায়ার…’। এর পর এক এক করে মিঠুন-বাপি পার্টনারশিপে নানা ছবিতে ডিস্কোর জাদুতে মেতে ওঠে দেশ।
কিন্তু শুধু ডিস্কোই নয়, মেলোডির জাদুতেও ভারতবাসীকে মাতিয়েছিলেন বাপ্পি। সঙ্গীত জগৎকে উপহার দিয়েছেন একের পর এক কালজয়ী গান।
শুনে নিন বাপ্পি লাহিড়ী সৃষ্ট কিছু সেরকমই কিছু গান। আর হারিয়ে যান বাপ্পি দার মেলোডি দুনিয়ায়:
বলছি তোমার কানে কানে
ছবি- আমার তুমি, ১৯৮৭ গেয়েছেন- লতা মঙ্গেশকর
আজ এই দিনটাকে
ছবি – অন্তরালে
গেয়েছেন- কিশোর কুমার
চিরদিনই তুমি যে আমার
ছবি- অমর সঙ্গী,
গেয়েছেন কিশোর কুমার
যেখানেই থাক সুখে থাক
ছবি – অমর সঙ্গী, ১৯৮৭ গেয়েছেন – আশা ভোঁসলে
মঙ্গল দ্বীপ জ্বেলে
ছবি – প্রতিদান
গেয়েছেন -লতা মঙ্গেশকর
তোমার তখন একুশ বছর বোধহয়, ১৯৮৮
গেয়েছেন – আরতী মুখোপাধ্যায়
চলতে চলতে
ছবি- চলতে চলতে, ১৯৭৬
গেয়েছেন- কিশোর কুমার
মুম্বাই সে আয়া মেরা দোস্ত,
ছবি -আপকি খাতির, ১৯৭৭
গেয়েছেন -বাপ্পি লাহিড়ী
থোড়া রেশম লাগতা হ্যায়
ছবি – জ্যোতি
গেয়েছেন- লতা মঙ্গেশকর
রাত বাকি
ছবি – নমক হালাল, ১৯৮২
গেয়েছেন – আশা ভোঁসলে
পাগ ঘুঙুরু বাধে
ছবি – নমক হালাল, ১৯৮২
গেয়েছেন – কিশোর কুমার
ইন্তেহা হো গ্যায়ি
ছবি – শরাবি
গেয়েছেন – আশা ভোঁসলে