আজ গীতশ্রীর শেষকৃত্য, সন্ধ্যাকে শ্রদ্ধা জানাতে কলকাতা ফিরছেন মমতা
মঙ্গলবার বাংলার সংগীত জগত হারাল ইন্দ্রধনু। চলে গেলেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৭ জানুয়ারি ভর্তি হয়েছিলেন বাইপাস লাগোয়া এক বেসরকারি হাসপাতালে। করোনা জয়ীও হয়েছিলেন। একটু একটু করে সুস্থতার দিকে এগোচ্ছিলেন ৯০ বছর বয়সী গায়িকা। তবে মঙ্গলবার আচমকাই পরিস্থিতি বিগড়ে যায় ‘গীতশ্রী’র। আর কয়েকঘন্টার মধ্যেই সব শেষ। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল ‘বাংলার সরস্বতী’র। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে এদিন সন্ধ্যায় সাড়ে সাতটা নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, মিনিট কয়েকের মধ্যেই মৃত্যু।
মঙ্গলবার রাতে পিস হেভেনে শায়িত রাখা হয় সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ। আজ (বুধবার) বেলা পিস হেভেন থেকে বেলা ১১টায় দেহ নিয়ে গীতশ্রীর দেহ বার করা হবে পিস হেভেন থেকে, এরপর ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত রবীন্দ্র সদনে রাখা হবে গীতশ্রীর পার্থিব দেহ।
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে বরাবর নিজের দিদির চোখে দেখতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়মিত খোঁজ খবর নিয়েছেন অসুস্থ গায়িকার, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের চলে যাওয়াটা ‘ব্যক্তিগত ক্ষতি’ মমতার। গায়িকার শেষকৃত্যে হাজির থাকতে উত্তরবঙ্গ সফর কাঁটছাঁট করে কলকাতায় ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, পূর্ণ মর্যাদায় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে গীতশ্রীর।
টুইটারে শোকপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘বাংলায় সুরের রানি সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর প্রয়াণে আমাদের সংগীতের জগত, লাখ-লাখ অনুরাগীদের হৃদয়ে চিরন্তন শূন্যতা তৈরি হল। আমি তাঁকে দিদি হিসেবে দেখতাম। তাঁর প্রয়াণে আমার বড়সড় ব্যক্তিগত ক্ষতি। সাহিত্য অ্যাকাডেমির হৃদয় ছিলেন তিনি। আমরা তাঁকে বঙ্গবিভূষণ (২০১১ সাল), সংগীত মহাসম্মানের (২০১২ সাল) মতো পুরস্কারে ভূষিত করেছিলাম।’