বাংলায় আরও ১৪৫ টি কৃষি সরঞ্জাম সহায়তা কেন্দ্র তৈরির সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের
আগামী মার্চ মাসে শুরু হবে ১৪৫টি নতুন কৃষি সরঞ্জাম সহায়তা কেন্দ্র। রাজ্যের অধিকাংশ প্রান্তিক চাষি। মূলত তাঁদের কথা মাথায় রেখেই নতুন এই কেন্দ্রগুলি শুরু করতে চায় কৃষি দপ্তর।
এখন রাজ্যে প্রায় ১ হাজার ৮৪৫টি কৃষি সরঞ্জাম সহায়তা কেন্দ্র রয়েছে। তবে এখনও বেশ কিছু ব্লকে এই বিষয়ক পরিকাঠামো নির্মাণের প্রয়োজন রয়েছে বলে জেনেছে কৃষি দপ্তর। এই ব্লকগুলিতেই আগামী মার্চ মাসের মধ্যে তৈরি করা হবে আরও ১৪৫টি কৃষি সরঞ্জাম সহায়তা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রগুলি থেকে কৃষি বিষয়ক তথ্য যেমন জানতে পারবেন কৃষকরা, তেমন কৃষি কাজে সহায়ক উন্নত মানের যন্ত্র ব্যবহারের জন্য পেতে পারবেন। নতুন এই কেন্দ্রগুলি তৈরি হয়ে গেলে রাজ্যে মোট ১ হাজার ৯০০ কৃষি সরঞ্জাম সহায়তা কেন্দ্র কাজ করা শুরু করবে।
কৃষি দপ্তর সূত্রে খবর, এই কাজে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় ১২০ কোটি টাকা। প্রতিটি কৃষি সরঞ্জাম সহায়তা কেন্দ্র তৈরি গড়তে খরচ করা হয়েছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা। এগুলি তৈরির জন্য রাজ্য সরকারকে দিতে হয় মোট খরচের ৪০ শতাংশ দিতে হয়। আর্থিক পরিমাণ এক কোটি টাকার অনুদান। কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘চাষিদের যাতে কোনও রকম ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়তে না-হয় সেই লক্ষ্যেই কাজ করে কৃষি দফতর। আর এই কৃষি সরঞ্জাম সহায়তা কেন্দ্র তৈরি হলে আরও অনেক বেশি কৃষক উপকৃত হবেন। সঙ্গে সরকারি সহায়তা পেতেও ব্যবস্থা রাখা হবে এই কেন্দ্রগুলিতে।’’ নতুন এই কেন্দ্রগুলিতে অত্যাধুনিক মেশিন রাখা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, গত কয়েক বছরে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে মাঝেমধ্যেই আছড়ে পড়ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সেই দুর্যোগে ক্ষতি হয়েছে কৃষকদের। সেই কারণে দুর্যোগের আগাম আভাস পেয়ে ফসল যাতে দ্রুত কেটে গুদামে রাখা যায়, সেই বিষয়ক যন্ত্র রাখা হচ্ছে নতুন এই কেন্দ্রগুলোতে। যন্ত্রটির নাম ‘কম্বাইন্ড হারভেস্টার ( দ্রুত একসঙ্গে ফসল কাটার যন্ত্র)’। এটি ব্যবহার করে বিঘার পর বিঘার ফসল বাঁচানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি দপ্তরের এক আধিকারিক।