উত্তরে শিল্পতালুক গড়তে চিহ্নিত ৫১৬ একর জমি
উত্তরবঙ্গে শিল্পতালুক গড়তে চিহ্নিত হয়েছে আরও ৫১৬.৯৫ একর জমি। স্টেট অ্যাপ্রুভাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক (এসএআইপি) প্রকল্পে উত্তরবঙ্গে ৬৪টি শিল্পতালুক গড়া হবে। এ জন্য জমিগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের ন’টি শিল্পতালুকে সচল রয়েছে ৭৭৬টি কারখানা। সংশ্লিষ্ট শিল্পতালুকগুলি রয়েছে ডব্লুবিএসআইডিসিএলের অধীনে। এনিয়ে উত্তরবঙ্গের বণিক মহল উচ্ছ্বসিত। তারা রাজ্য সরকারের প্রশংসাও করেছে।
বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলে শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গে শিল্পে জোয়ার এসেছে। এ ব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্প উন্নয়ন দপ্তর। এ জন্য উত্তরবঙ্গে রয়েছে ১৯৯.৫৩ একর জমি। এরমধ্যে জলপাইগুড়িতে ১৬৪.০২, কোচবিহারে ২৬.৬১ এবং উত্তর দিনাজপুরে ৮.১ একর জমি। সংশ্লিষ্ট জমিগুলিতে ১৮টি শিল্পতালুক গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এর বাইরে রাজ্যে শিল্পতালুকের জন্য সরকারি জমি চিহ্নিত করা হয়েছে প্রায় ১১৮৬.৫৮ একর। যার মধ্যে উত্তরবঙ্গে রয়েছে ৩১৭.৪২ একর জমি। এতে আলিপুরদুয়ার জেলায় ৪১.৩০, শিলিগুড়িতে ২৫, মালদহে ১০.৭৯, কালিম্পংয়ে ৫, কোচবিহারে ১৪৬.৪৪, জলপাইগুড়িতে ৭০.৪১ এবং উত্তর দিনাজপুরে ১৮.৪০ একর জমি রয়েছে। এগুলিতে প্রায় ৪৬টি শিল্পতালুক গড়া হবে। প্রশাসনের কর্তারা বলেন, শিল্প তালুকগুলি পাঁচ একর জমিতে হবে। সেগুলিতে রাস্তা, পানীয় জল, বিদ্যুৎ প্রভৃতির ব্যবস্থা রাজ্য সরকার করে দেবে। সেখানে কোল্ড স্টোরেজ, পোলট্রি ফার্ম সহ বিভিন্ন ধরনের শিল্প স্থাপন হতে পারে। রাজ্য সরকারের এমন পদক্ষেপে উত্তরবঙ্গের শিল্পপতিরা রীতিমতো উচ্ছ্বসিত। তাঁদের একাংশ বলেন, একদা এখানে শিল্পের জন্য জমি মিলত না। জমিজটের জেরে অনেক প্রকল্পই হয়নি। বর্তমান রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এখানে শিল্পের জোয়ার এসেছে। অন্যদিকে, ডব্লবিএসআইডিসিএলের অধীনে ন’টি শিল্পতালুক রয়েছে। সেগুলিতে সচল কারখানার সংখ্যা ৭৭৬টি। এতে কর্মরত রয়েছেন ৫২৫৯ জন। এখনও পর্যন্ত সেগুলিতে বিনিয়োগ হয়েছে ২৫১.৩৩ কোটি টাকা।