দীর্ঘদিন পর স্কুল খোলায় খুশি খুদে পড়ুয়ারা
দীর্ঘদিন পর শ্রেণিকক্ষে ফিরতে খুশি উপচে পড়ল প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের চোখেমুখে। কচিকাঁচাদের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে কোথাও কোথাও স্কুলে স্কুলে নানা আয়োজন করা হয়। কোথাও মিষ্টি বিতরণ করে, কোথাও চকোলেট হাতে দিয়ে স্বাগত জানানো হয় পড়ুয়াদের। কোথাও আবার মিড-ডে মিলে ভুরিভোজের আয়োজন করা হয়। এদিন পড়াশুনো নিয়ে কড়াকড়ি ছিল না বললেই চলে। এই দু’বছরে ছাত্রছাত্রীদের কেমন কেটেছে, শিক্ষকদের অভিজ্ঞতাই বা কেমন—সেসব নিয়েই মেতেছিল স্কুলগুলি।
এদিন বারাসতের আরবান জুনিয়র বেসিক স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের জন্য আয়োজন ছিল চোখে পড়ার মতো। তাদের হাতে চকোলেট, বিস্কুট সহ নানা শুকনো খাবার তুলে দেওয়া হয়। একইরকম চিত্র দেখা গিয়েছে বনগাঁ ও বসিরহাটের বিভিন্ন প্রাথমিক স্কুলে। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান দেবব্রত সরকার বলেন, প্রায় দু’বছর বাদে স্কুল খুলেছে। একাধিক স্কুল পরিদর্শনের সময় বাচ্চাদের উৎসাহ দেখে আনন্দ পেয়েছি। এদিন জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি ৮০ শতাংশের বেশি ছিল। কিছু স্কুলে উপস্থিতির হার ৯০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। শিক্ষকদের উপস্থিতি ছিল প্রায় ১০০ শতাংশ।