চন্দননগরে হবে আন্তর্জাতিক সংস্কৃতি কেন্দ্র, ঘুরে দেখলেন ফরাসী প্রতিনিধিরা
চন্দননগরের ফরাসি আমলের রেজিস্ট্রি ভবনকে আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র করে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিল রাজ্য সরকার। গঙ্গার ধারে চন্দননগর মহকুমা শাসকের দপ্তরের উল্টোদিকেই ওই ভবনটি অবস্থিত। বৃহস্পতিবার সেই ভবন পুনর্গঠনের কাজের পরিকল্পনা করতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হল চন্দননগরে। এদিন ফরাসি এমব্যাসির কালচারাল ডিরেক্টার এমানুয়েল লেঁব দমিয়েন, কনসাল জেনারেল দিঁদিয়ের তাঁপে বিশেষজ্ঞদের একটি বিশেষ দল নিয়ে চন্দননগরে আসেন। তাঁদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের পর্যটন বিভাগ, হুগলি জেলা প্রশাসনের কর্তারা ও চন্দননগর পুরসভার কমিশনার স্বপন কুণ্ডু বৈঠক করেন। সেখানে কেএমডিএ, পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার সহ একাধিক নির্মাণ সংস্থা ও আর্কিটেক্টদের একটি দল ছিল।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ফরাসি স্থাপত্য, গঠনশৈলী সহ যাবতীয় কিছু ঠিক রেখে ভবনটি নতুন করে গড়াই সরকারের উদ্দেশ্য। এজন্য ফ্রান্স সরকারের সঙ্গে চুক্তিও হয়েছে। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ওই ভবনের জন্য প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। যেহেতু ফরাসি আদল ও স্থাপত্যকে ধরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে, সেই জন্যেই ফরাসি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ রাজ্য সরকার চাইছে। এদিনের বৈঠক মূলত সেই উদ্দেশ্যেই। তবে একাধিক সংস্থা ও দপ্তর ওই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। সেই কারণে পুনর্গঠনের কাজে সার্বিক ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে একটি নীল নকশা তৈরির কাজ এদিন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, দ্রুত ওই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে। সেই লক্ষ্যেই এদিন আলোচনা করা হয়েছে।
চন্দননগর পুরসভা ওই ভবন নির্মাণের মুখ্য দায়িত্বে। এদিন পুরসভার কমিশনার স্বপন কুণ্ডু বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। নতুন ভবনটি ইন্দো-ফ্রেঞ্চ সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। একটি বিশ্ব সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানের উপযোগী মঞ্চ হিসেবেও সেটিকে ব্যবহার করা হবে। তিনি বলেন, নতুন ভবনে স্থানীয় সংস্কৃতিকে প্রেরণা দেওয়ার কাজ যেমন করা হবে, তেমনই সেখানে থাকার ব্যবস্থাও থাকবে। পর্যটনের জন্যেও একটি আকর্ষণ কেন্দ্র হবে ওই গঙ্গাপাড়ের হেরিটেজ ভবন।