২২ ফেব্রুয়ারি মেয়র পদে শপথ নেবেন চার পুরসভার জনপ্রতিনিধি
আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি শপথ নিতে পারেন চার পুরসভার মেয়ররা। বৃহস্পতিবার নগরোন্নয়ন দপ্তর সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই মেয়র এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হতে পারে। যেদিন মেয়র পদে শপথগ্রহণ হবে,ওইদিনই নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও শপথ নেবেন। গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ি পুরসভায় ভোট হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি হয় ভোট গণনা। ফলাফলে সবক’টি পুরসভায় নিরঙ্কুশ প্রাধান্য রেখে জয়লাভ করেছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। শিলিগুড়ি পুরসভাএই প্রথম এককভাবে দখল করল রাজ্যের শাসকদল। তাই শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র হচ্ছেন প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব। সোমবার চার পুরভোটের ফল ঘোষণা হতেই একথা ঘোষণা করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
বাকি তিনটি পুরসভায় কার ভাগ্যে মেয়র পদ? এই প্রশ্নে রহস্য বহাল রেখেছেন তিনি। সঙ্গে ওই পুরসভাগুলির চেয়ারম্যান, ডেপুটি মেয়রদের নাম নিয়েও জল্পনা রয়েছে।
শুক্রবার নতুন কর্মসমিতির সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই বিধাননগর আসানসোল ও চন্দননগর পৌরসভার মেয়রের নাম ঘোষণা করে দেবেন তিনি। বিধাননগরের মেয়র হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন বিদায়ী মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী ও প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত। আসানসোল ও চন্দননগর পুরসভাতেও আলোচনায় রয়েছে তিন-চারজন মেয়র পদপ্রার্থীর নাম। তৃণমূল সূত্রে খবর, আসানসোল পুরসভার মেয়র হাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন অমর চট্টোপাধ্যায়। এছাড়া আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক তথা আইন মন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই অভিজিৎ ঘটক, অমিতাভ বসু ও তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও রয়েছে মেয়র পদের দৌড়ে।
চন্দননগর পুরসভায় মেয়র হিসেবে তিনটি নাম নিয়ে আলোচনা চলছে। এই দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে প্রাক্তন মেয়র রাম চক্রবর্তী। তিনি ছাড়াও মেয়র পদের দৌড়ে রয়েছেন অনিমেষ বন্দ্যোপাধ্যায় ও পার্থসারথি দত্ত। তবে দলের নেতারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব ছাড়ছেন মুখ্যমন্ত্রীর ওপরেই।