২৩ হাজার কোটির ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতেও নিশ্চুপ কেন্দ্র! ভর্ৎসনা বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধীর
দলে তাঁকে কোণঠাসা করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। তাতেও মুখ বন্ধ হচ্ছে না। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ফের সরব বরুণ গান্ধী। তাও আবার ভোটের ভরা মরশুমে। এবার বিজয় মালিয়া, নীরব মোদী ও সর্বশেষ এবিজি শিপইয়ার্ডের জালিয়াতি মামলায় ঋষি আগরওয়ালের নাম উল্লেখ করে কেন্দ্রের মুণ্ডপাত করলেন পিলিভিটের বিজেপি এমপি। বরুণের ঠেস, ‘শক্তিশালী’ সরকার এ ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘শক্তিশালী’ ব্যবস্থা নেবে, এটাই প্রত্যাশিত।
বিজয় মালিয়া ৯ হাজার কোটি ও নীবর মোদী ১৪ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতি করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। ক’দিন আগে এবিজি শিপইয়ার্ড ও সংস্থার কর্তা ঋষি আগরওয়ালের বিরুদ্ধে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে সিবিআই। এবিজি শিপয়ার্ডের কেলেঙ্কারিই এখনও পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক জালিয়াতি। এদিন বরুণ গান্ধীর তোপ, এইসব লোক বৈভবের শীর্ষে জীবন কাটাচ্ছেন। আর দেনার দায়ে দেশে প্রতিদিন ১৪ জন করে সাধারণ মানুষ আত্মহত্যা করছেন।
সম্প্রতি একের পর এক ইস্যুতে সুর চড়িয়ে মোদী সরকারকে বেকায়দায় ফেলেছেন বরুণ। বিজেপি সাংসদ হয়েও নজিরবিহীনভাবে কৃষক আন্দোলন নিয়ে কেন্দ্রের মনোভাবের কড়া সামলোচনা করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কৃষক আন্দোলন চলাকালীন মৃতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছিলেন। লখিমপুর খেরি কাণ্ডে অভিযুক্ত মন্ত্রিপুত্র আশিস মিশ্রের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপেরও দাবি জানান। বেকারি ও মুদ্রাস্ফীতি ইস্যুতেও মোদি সরকারকে নিশানা বানাতে ছাড়েননি বরুণ গান্ধী। ডিসেম্বরে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র পিলিভিটে গিয়ে কৃষকদের দুর্দশা নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। বরুণের বক্তব্য ছিল, বিজেপি এমপি হিসেবে একমাত্র তিনিই আখের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন। ভোটের টিকিট হারানোর ভয়ে বিজেপির আর কোনও নেতা এইসব দাবি জানানোর সাহস দেখান না। এবার পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের মধ্যেই ব্যাঙ্ক জালিয়াতি ইস্যুতে মোদী সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তিনি।