পথবাতি বিকল, খবর পেয়ে ইলেকট্রিকের খুঁটিতে উঠে পড়লেন কোচবিহারের তৃণমূলের পুর প্রার্থী
জেলায় জেলায় জমে উঠেছে পুরভোটের লড়াই। তবে উত্তরবঙ্গের পুরবোর্ডগুলি দখল করা তৃণমূলের কাছে এবার অন্য়তম বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ গত বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরের একাধিক পুর এলাকায় ভোটের নিরিখে অনেকটাই এগিয়ে ছিল বিজেপি। কোচবিহারের চিত্রটাও এমনই। আর সেকথা মাথায় রেখে একেবারে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। এবার কোচবিহারের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন অভিজিৎ দে ভৌমিক। তিনি আবার তৃণমূলের শহর ব্লক সভাপতি। পেশায় তিনি আইনজীবী। আর ভোট প্রচারে বেরিয়ে একেবারে ইলেকট্রিকের খুঁটিতেই উঠে পড়লেন তিনি। এই ছবি দেখে কিছুটা হকচকিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারাও।
কিন্তু কেন এমন করলেন তিনি? স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘোষপাড়া এলাকায় তিনি প্রচারে বেরিয়েছিলেন। প্রচারে বেরিয়ে তিনি শুনতে পান এলাকায় পথবাতি বিকল হয়ে রয়েছে। খবর পেয়েই তিনি নিজেই মই জোগাড় করেন। প্রচার উঠল শিকেয়। ইলেকট্রিকের খুঁটিতে উঠে পড়লেন তৃণমূল প্রার্থী। পরনে ধবধবে পাঞ্জাবি, পায়জামা, জহর কোর্ট। সেসব পরেই মইতে উঠে পড়েন তিনি।
তবে এই ছবি, ভোট বাজারে তাঁকে কতটা এগিয়ে রাখল তা জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে বাসিন্দাদের অনেকেই এই দৃশ্য দেখে মুচকি হেসেছেন। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূল যে পরিষেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে তা এদিন তাঁদের দলের প্রার্থীই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীর সামনে বড় কাঁটা বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর। তিনি আবার এই ওয়ার্ডেই নির্দল হিসাবে দাঁড়িয়েছেন। সেকারণে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না তৃণমূল। তবে তৃণমূল প্রার্থী অভিজিৎ দে ভৌমিকের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় পথবাতি জ্বলছিল না। সেটি জ্বালানোর জন্যই নিজেই মইতে উঠে সেই দায়িত্ব পালন করেছি।