করোনা টিকাকরণে নজির গড়ল বাংলা, ৯৬ শতাংশ বঙ্গবাসীর কাছে পৌঁছেছে ভ্যাকসিন
টিকাকরণে দৃষ্টান্ত স্থাপন করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বাংলার প্রতিটি প্রান্তে চলছে করোনার টিকা দান। পরিসংখ্যান বলছে, বাংলার ৯৬ শতাংশ অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং যোগ্য টিকা প্রার্থীর কাছে একটি করে করোনা টিকার ডোজ পৌঁছে গিয়েছে। ৭৮ শতাংশ বঙ্গবাসী দুটি ডোজই পেয়েগিয়েছেন।
টিকাকরণের নিরিখে বাংলা এখন দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কথায়, বাংলায় প্রথম ডোজের টিকাকরণ মার্চের শেষে ১০০ শতাংশের গন্ডি ছোঁবে। তারা এও জানাচ্ছেন, ওই সময়ের মধ্যেই ৯০ শতাংশ রাজ্যবাসী টিকার উভয় ডোজ পেয়ে যাবেন।
প্রিকোশনারী ডোজের ক্ষেত্রেও বাংলার স্থান তৃতীয়। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৫.৪ লক্ষ টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। বুস্টার ডোজ প্রদানের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে ৩৭ লক্ষ টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ২২ লক্ষ ভ্যাক্সিন প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এবং ১৫ লক্ষ ভ্যাক্সিন প্রথমসারির স্বাস্থ্যকর্মীদের বরাদ্দ করা হত।
রাজ্য পরিবার কল্যাণ আধিকারিক অসীম দাস মালাকারের কথায়, “১৫-১৭ বছর বয়সীদের মধ্যে ৭৭ শতাংশের প্রথম ডোজের টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের মধ্যে ৩৯ শতাংশের দুটি ডোজের টিকাকরণ ইতিমধ্যেই মিটে গিয়েছে।” অসীম বাবু জানিয়েছেন, মার্চ মাসের মধ্যে প্রায় ১০০ শতাংশ ভ্যাক্সিনেশন শেষ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
টিকাকরণে গতি আনতে স্কুলে স্কুলে টিকাকরণ শিবির করা হচ্ছে, কিন্তু যেসব ছেলেমেয়েরা স্কুল আসে না, বা স্কুল ছুট পড়ুয়াদের জন্য টিকাকরণ শ্লথ হয়ে পড়ছে। সেই কারণে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর তাদের জন্য তাৎক্ষণিক টিকাদানের ব্যবস্থা করেছে। তাৎক্ষণিক টিকাদানের আওতায় প্রায় ৩১ লক্ষ টিকাকরণ হবে।
বাংলায় করোনা নিয়ন্ত্রণের জন্য তৈরি হওয়া গ্লোবাল অ্যাভাইজারি বোর্ডের সুকুমার মুখার্জীও জানিয়েছে, “মার্চে পশ্চিমবঙ্গ ১০০ শতাংশ টিকাকরণের লক্ষ্য পূরন করবে।”
রাজ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা জানিয়েছেন রাজ্যে এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত ভ্যাক্সিন মজুত রয়েছে। অসীম দাস মালাকার জানিয়েছেন, “এই মুহূর্তে রাজ্য এক কোটি টিকা মজুত রয়েছে। যার মধ্যে কোভিশ্লিড রয়েছে ৯০ লক্ষ এবং ১০ লক্ষ কোভ্যাক্সিন মজুত রয়েছে।” প্রাপ্তবয়স্কদের কোভিশ্লিড টিকা দেওয়া হচ্ছে এবং ১৫-১৭ বছর বয়সীদের কোভ্যাক্সিন দেওয়া হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।