নীতীশের সাথে প্রশান্তের নৈশভোজ, রাজনৈতিক মহলে নয়া সমীকরণের গুঞ্জন
প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে নীতীশ কুমারের হাত ধরেই হাতেখড়ি হয়েছিল প্রশান্ত কিশোরের। ইদানিং তিনি যতই ‘হাত’ শিবিরে নাম লেখানোর চেষ্টা করুন না কেন, নীতীশকে প্রশান্ত এখনও ভুলে যাননি। অন্তত শুক্রবার হঠাৎ নিজের প্রাক্তন ‘বসের’ সঙ্গে প্রশান্তের নৈশভোজের খবর প্রকাশ্যে আসার পর তেমনটাই মনে হচ্ছে। শুক্রবার রাতে জেডিইউ (JDU) সুপ্রিমো তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। একসঙ্গে নৈশভোজও করেছেন তাঁরা। যা নিয়ে নতুন করে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
এমনিতে প্রশান্ত কিশোর রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ বা বৈঠকের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গোপনীয়তা বজায় রাখেন। কিন্তু শুক্রবার নীতীশের সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যাপারটি তিনি গোপন রাখেননি। বরং দু’পক্ষের ইচ্ছাতেই সেটি প্রকাশ্যে এসেছে। যাতে গুঞ্জনের অবকাশ আরও বেড়ে গিয়েছে। হঠাৎ কেন নীতীশের (Nitish Kumar) সঙ্গে প্রকাশ্যে সাক্ষাৎ করলেন পিকে? প্রকাশ্যে নীতীশ কুমার বলছেন, এটা শুধুই একটা সৌজন্য সাক্ষাৎ। এর পিছনে কোনও কারণ খোঁজার যুক্তি নেই। পিকেও (PK) বলছেন, নীতীশের সঙ্গে তাঁর পুরনো সম্পর্ক। কিছুদিন আগে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেসময় ফোন করে তাঁর খোঁজ নিতেই নাকি পিকের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন নীতীশ।
যদিও, পিকে-নীতীশের এই বৈঠকের নেপথ্যে অন্য সম্ভাবনা দেখছে রাজনৈতিক মহল। প্রথমত, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে একজোট করার চেষ্টা করছেন প্রশান্ত কিশোর। আর নীতীশ কুমার এই মুহূর্তে বিজেপির ‘অতৃপ্ত’ শরিক। দুই শিবিরের মধ্যে কাজিয়া নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। সেক্ষেত্রে নীতীশকে বিরোধী শিবিরে ভাঙিয়ে আনার একটা সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। তাছাড়া সামনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। বিভিন্ন রাজ্যের যা পরিস্থিতি তাতে শরিকরা ভোট না দিলে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী নাও জিততে পারেন। সেদিক থেকে দেখতে গেলেও এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ।
আবার প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) নিজেও রাজনীতিতে ঢোকার চেষ্টা করছেন এই মুহূর্তে। কংগ্রেসের সঙ্গে বেশ কয়েক রাউন্ড আলোচনার পরও তা ভেস্তে গিয়েছে। নতুন করে রাজনীতিতে ঢোকার আগে প্রাক্তন বসের সঙ্গে স্রেফ শলা-পরামর্শ করার জন্যও এই বৈঠকটি করে থাকতে পারেন প্রশান্ত। বলে রাখা দরকার, প্রশান্ত একটা সময় নীতীশের দলের নম্বর টু হয়ে উঠেছিলেন।