প্রার্থীপদ প্রত্যাহার না করলেও নির্দলরা ভোটে কোনও ফ্যাক্টর হবে না, বলছে তৃণমূল
পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হাওয়ার পরেই জেলায় জেলায় দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়েছে। অনেক প্রার্থী নির্দল হিসাবে ভোটে দাঁড়িয়েছেন।তাদেরকে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার জন্য চাপ দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রার্থীপদ প্রত্যাহার না করলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলেও আগেই হুঁশিয়ারী দিয়েছিল তৃণমূল। ইতিমধ্যেই অনেকেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু, তারপরেও দেখা যাচ্ছে অনেকে নির্দল প্রার্থী তাদের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করেননি। তবে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার না করলেও ‘নির্দলরা ভোটে কোনও ফ্যাক্টর হবে না’ বলেই মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য, ‘এরফলে তৃণমূলের ভোটের কোনও প্রভাব পড়বে না।’
উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে পুর ভোটের প্রচারে গিয়ে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় নির্দল প্রার্থীদের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে যারা নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছে তারা লিখিতভাবে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার না করলে পুরভোটের পরেও তাদের কখনও তৃণমূলে ফেরানো হবে না। তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।’ ইতিমধ্যেই নির্দল প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ানোর কারণে অনেককেই বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। যার মধ্যে হুগলি জেলাতে ১৪ জনকে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মালদা ইংরেজবাজারে ৯ জন এবং পুরাতন মালদায় ৫ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বাঁকুড়া পুরসভায় একজন নির্দল প্রার্থীকে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও যে সমস্ত নির্দল প্রার্থী রয়েছেন যারা এখনও প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করেনি তাদের আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। এবার পুরভোটের তৃণমূল নেতাদের একটা বড় অংশ নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছেন যার মধ্যে অনেকেই প্রভাবশালী নেতা। এই পরিস্থিতিতে পুরভোটে বেশকিছু পুরসভায় তৃণমূল অস্বস্তিতে পড়তে পারে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করলেও তাতে অবশ্য কোনই সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা মলয় ঘটক।