আজ পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন, কে বসবে মসনদে? অঙ্ক কষছে সব দল
পাঞ্জাব বিধানসভার ১১৭টি কেন্দ্রেই আজ ভোটগ্রহণ। ১ হাজার ৩০৪ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ২ কোটি ১৪ লক্ষ ভোটার। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এবার পাঞ্জাবে পাঁচমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা। একদিকে রয়েছে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস। শক্ত চ্যালেঞ্জ দিতে তৈরি আপ। ক্ষমতায় ফিরতে বহুজন সমাজ পার্টির সঙ্গে জোট করেছে শিরোমণি অকালি দল। রয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের দল পিএলসি-বিজেপি জোট। এছাড়াও পাঞ্জাবে ভোটে লড়ছে কৃষক সংগঠনগুলির জোট সংযুক্ত সমাজ মোর্চা।
কার ভাগ্যে পাঞ্জাবের শাসনভার উঠবে, জানা যাবে ১০ মার্চ। তবে ক্ষমতা ধরে রাখতে প্রচারে কসুর করেনি কংগ্রেস। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ কংগ্রেস এমনিতেই এবার সাংগঠনিকভাবে কিছুটা পিছিয়ে। সঙ্গে রয়েছে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া। বিরোধীরা চরণজিৎ সিং চান্নি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং মাদকযোগের অভিযোগ করেছে। কংগ্রেস অবশ্য প্রচারে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানির দাম কমানোর বিষয়টি প্রচারে এনেছে। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী প্রচারে এসে রাজ্যবাসীকে ভোট দেওয়া নিয়ে কোনওরকম ‘পরীক্ষানিরীক্ষা’ করতে নিষেধ করেছেন। তাঁর কথায়, রাজ্যের সম্প্রীতি এখন সবচেয়ে জরুরি। তা দিতে পারে একমাত্র কংগ্রেসই। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও জনসভা করেছেন পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এই রাজ্যে। কৃষি আইন বিরোধী বিক্ষোভের প্রভাব যে পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে পড়বে, তা জানে বিজেপি। তাই এবার জোটসঙ্গী অমরিন্দর সিংকে এগিয়ে দিচ্ছে গেরুয়া শিবির। প্রচারে একঝাঁক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ছাড়াও বিজেপির হয়ে প্রচার করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। মোদি তিনটি জনসভা করেছেন। জলন্ধর, পাঠানকোট এবং অবহরে প্রচারে গিয়ে কংগ্রেস এবং আপকে তুলোধোনা করেছেন।
আম আদমি পার্টি আবার পাঞ্জাবে দিল্লি মডেল প্রচার করছে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পার্টির দাবি, দিল্লির মতোই পাঞ্জাবে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে তারা। রাজনৈতিক মহলের মতে, এবার পাঞ্জাব বিধানসভা ভোটে কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে আপ। গত বিধানসভা নির্বাচনে ২০টি আসন পেয়েছিল তারা। গত পাঁচবছরে নানাবিধ দাবি দাওয়া নিয়ে লড়াই করে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করেছে তারা। তার ফসল আপের ঘরে আসবে। ২০২০ সালে কৃষি আইনের বিরোধিতা করে বিজেপির সঙ্গ ছাড়ে শিরোমণি অকালি দল। বসপাকে সঙ্গে নিয়ে অকালি দল পাঞ্জাবি অস্মিতা জাগিয়ে প্রচার শুরু করেছে। অকালি প্রধান সুখবীর সিং বাদল বলছেন, শিরোমণি অকালি দল পাঞ্জাবের নিজস্ব দল। রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সুখবীর। ৪০০ ইউনিট পর্যন্ত বিনামূল্যে বিদ্যুতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে অকালি-বসপা জোট।