‘উত্তর কলকাতার রাজনীতিতে সাধন পাণ্ডে একটা বিশাল নাম’, প্রয়াত সহকর্মীর স্মৃতিতে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়
উত্তর কলকাতার রাজনীতিতে সাধন পাণ্ডে একটা বিশাল নাম। মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের মৃত্যুতে এভাবেই তাঁর স্মৃতিচারণা করলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়।
রবিবার সকালে মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে জীবনাবসান হয় রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের। এনিয়ে শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, স্পষ্ট কথা বলার ক্ষেত্রে কখনওই পিছিয়ে আসত না সাধন। ধরুন কোনও ক্য়াবিনেট বৈঠক চলছে। আমরা সবাই যে যার কাজ নিয়ে ব্যাস্ত। সেইসময় সাধন দুম করে একটা কথা বলে দিল। একবারও ভাবল না তাতে মমতা রেগে যাবে কিনা। সাধনের ওই ধরনের কথা শুনে মমতা কখনও কখনও রেগেও যেত। আবার প্রশংসাও করত।
মন্ত্রিত্ব সম্পর্কে বলতে গিয়ে শোভনদেব(Sovandeb Chattopadhyay) বলেন, উপভোক্তা দফতর নিয়ে রাজ্যে মানুষের কোনও ধারনাই ছিল না। যদি কোনও বিক্রেতা আপনাকে ঠকায় তাহলে আপনি ক্রেতাসুরক্ষা দফতরে যেতে পারেন। এই সচেতনতাটা সাধনই তৈরি করেছে। ওর কোনও ভয়ডর ছিল না। ধরুন দিল্লি থেকে কোনও নেতা এসেছে। আমরা সবাই তাঁর কাছে যেতে ইতস্থত করছি। ও কিন্তু সবাইকে টপকে চলে যেত। সুব্রত চলে গেল। সাধনও চলে গেল। মনের মধ্যে একটা শূন্যতা তৈরি হচ্ছে। ওর দফতরের প্রতিটি অনুষ্ঠানে আমাকে বলত। অধিকাংশ অনুষ্ঠান আমিই উদ্বোধন করেছি। খুব খারাপ লাগছে।
সাধন পাণ্ডের(Sadhan Pande) মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডেকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এক শোকবার্তায় মুক্যমন্ত্রী লিখেছেন, “আমাদের প্রবীণ সহকর্মী, দলের নেতা এবং রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে আজ সকালে মুম্বইতে প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর সঙ্গে অত্যন্ত ভাল সম্পর্ক ছিল। তাঁর প্রয়াণে মন ভারাক্রান্ত। তাঁর পরিবার, বন্ধু এবং অনুগামীদের প্রতি আমার সমবেদনা।”
উল্লেখ্য, সূত্রে খবর আজই মুম্বই থেকে কলকাতায় আনা হতে পারে সাধন পাণ্ডের দেহ। শেষকৃত্য কবে হবে তা এখনও জানা যায়নি।