জাতীয় সড়ক ও ভূতল পরিবহণ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আজ একসঙ্গে ১১ জায়গায় বিক্ষোভ
জাতীয় সড়ক ও ভূতল পরিবহণ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামছে আমজনতা। তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী বেচরাম মান্নাও। আজ, সোমবার দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের সাবওয়ে নির্মাণ ও সড়ক সম্প্রসারণের দাবিতে একসঙ্গে ১১টি জায়গায় গণবিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
অতীতে সিঙ্গুর দেখেছে কৃষক আন্দোলন। সোমবার থেকে আরও এক বৃহত্তর আন্দোলন দেখতে চলেছে সিঙ্গুর। এমনটাই দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা। তাদের অভিযোগ, দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির পর ডানকুনি থেকে গুড়াপের কংসারিপাড়া মোড় পর্যন্ত একাধিক স্থানে লাগাতার দুর্ঘটনা ঘটছে। অন্তত দেড় হাজার মানুষ ও দু’হাজার গবাদি পশুর প্রাণ গিয়েছে। জখম হয়েছেন অগণিত মানুষ। সেই কারণে বারবার এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস রোড ও আন্ডারপাস তৈরির দাবি উঠেছে। কিন্তু তা কর্তৃপক্ষ কানে তোলেনি।
এই জন্যই আরও এক আন্দোলনের জন্য কোমর বাঁধছে সিঙ্গুর। নেতৃত্বে থাকছেন সিঙ্গুর আন্দোলনের নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী বেচারামবাবু। আন্দোলনের প্রাক্কালে, রবিবার দিনভর প্রস্তুতি চলে। মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রচুর মানুষ স্বেচ্ছায় আন্দোলনে শামিল হওয়ার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছেন। ফলে বিক্ষোভ ও জমায়েত আড়েবহরে বড় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বেচারামবাবু বলেন, মানুষের সমস্যার কথা জানিয়ে আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিয়েছিলাম। রাজ্য সরকারও এনিয়ে চিঠি দেয়। কিন্তু বধির কেন্দ্রীয় সরকারের কানে মানুষের সমস্যার কথা যাচ্ছে না। সেই কারণে আমজনতার আন্দোলনের পাশে আমি নিজেই থাকব বলে স্থির করেছি। প্রয়োজনে আরও একবার সিঙ্গুরের মতো গণআন্দোলন হবে। দাবি আদায় করবই।