ঋদ্ধিকে সাংবাদিকের হুমকি! তদন্তে বিসিসিআই
ঋদ্ধিমান সাহাকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় এবার আসরে নামল BCCI। হুমকির ঘটনায় তদন্ত শুরু করল ভারতীয় ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা। বাকি ক্রিকেটাররা এই ধরনের পরিস্থিতির কখনও মুখোমুখি হয়েছেন কিনা তা জানতে তাঁদের সঙ্গে কথা বলবে বোর্ড। এই ঘটনায় অভিযুক্তকে যথাযথ শাস্তি দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বোর্ডের পক্ষ থেকে।
কিছুদিন আগে টুইটারে কয়েকটা স্ক্রিনশট শেয়ার করেন ঋদ্ধিমান সাহা। হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনের সেই স্ক্রিনশটটিতে দেখা যায় একজন সাংবাদিক সাক্ষাৎকারের জন্য ঋদ্ধিকে ধমক দিচ্ছেন। সাক্ষাৎকার দিতে অস্বীকার করায় ঋদ্ধিকে দেখে নেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়। ঋদ্ধি যদিও সেই সাংবাদিকের নাম সামনে আনেননি। এই ঘটনায় ঋদ্ধির পাশে থেকেছেন একাধিক ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব। সম্প্রতি রবি শাস্ত্রী এই ঘটনায় বোর্ডের হস্তক্ষেপের দাবি তোলেন। তারপরই আসরে নামল বোর্ড।
এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বোর্ডের এক কর্তা টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেন, “ঋদ্ধিমান BCCI-এর চুক্তিভিত্তিক ক্রিকেটার। এটা বোর্ডের দায়িত্ব কোনও প্লেয়ারের সঙ্গে যেন এরকম না হয় তা দেখা।পাশাপাশি, যদি কোনও ধরনের বন্ধন এখানে কাজ করে তাও দেখা উচিত। ঋদ্ধির অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতি ডিটেইলস খতিয়ে দেখা হবে।” যদি সত্যিই কোনও সাংবাদিক থেকে থাকেন এবং ফরেনসিক রিপোর্টে তিনি যদি দোষি সাব্যস্ত হন তাহলে তাঁকে ব্যানড করা হবে বলেও জানানো হয় বোর্ডের পক্ষ থেকে।
সাক্ষাৎকারে ঋদ্ধি জানিয়েছিলেন যে তাঁকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আশ্বস্ত করেছিলেন সুযোগ দেওয়ার ব্যাপারে। তার পরের সিরিজেই বাদ পড়েন। এছাড়া জানান, রাহুল দ্রাবিড় তাঁকে অবসর নিতে বলেছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ড কর্তা এক্ষেত্রে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। দল নির্বাচনের ব্যাপারে রাহুল দ্রাবিড় কোচ হিসেবে হস্তক্ষেপ করতে পারলেও বোর্ড কর্তা হিসেবে সৌরভ কী করে একথা বললেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, “রাহুল দ্রাবিড়ের বিষয়টা বোঝা যায়। উনি কোচ এবং উনি বিষয়গুলোকে নিয়ে প্লেয়ারদের লুপে রাখতে চান। এটা কোচ এবং প্লেয়ারের মধ্যেকার ব্যাপার। কিন্তু এক্ষেত্রে BCCI কর্তার কী দরকার ছিল ঋদ্ধির সঙ্গে কথা বলার। তাঁকে দলে জায়গা দিয়ে আশ্বস্ত করার।”
ঋদ্ধির বিতর্কের আগে হয়েছিল বিরাটের অধিনায়কত্ব বিতর্ক। সেই বিতর্কের আগুন নিভতে না নিভতে ফের শিরোনামে BCCI। বা বলা ভালো সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বোর্ডের এক কর্তা বলেন, “প্রথমে বিরাটের ঘটনা ঘটল, তারপর এখন এসব। এবং ঋদ্ধিমান স্ক্রিনশটগুলো পোস্ট করছে টুইটারে। কী চলছে এগুলো? বোর্ডের এবার মুখ খোলা উচিত। কারণ অনেক হয়েছে।”