আফগানিস্তানে খাবার পাঠাচ্ছে ভারত, তালিবান শাসনকে মান্যতা দিল মোদী সরকার?
জানা গিয়েছিল আগেই। অবশেষে তালিবান (Taliban) শাসিত আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষদের জন্য খাদ্যসামগ্রী পাঠানো শুরু করল ভারত। পাকিস্তানের (Pakistan) হয়ে আড়াই হাজার টন গম পাঠানো হল মঙ্গলবার। এদিন ৫০টি ট্রাক একসঙ্গে রওনা দেয় অমৃতসর থেকে। তার আগে একটি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় অমৃতসরে। সেখানে ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আফগান রাষ্ট্রদূত ফরিদ মামুন্দজে। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ‘ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম কান্ট্রি’র ডিরেক্টর বিশাও পারাজুলি।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবরেই আফগানিস্তানে খাদ্য সংকটের মোকাবিলায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় নয়াদিল্লি। স্থলপথে ট্রাকে করে সেগুলি পাকিস্তানের ভিতর দিয়ে আফগানিস্তানে পৌঁছনোর কথা ভাবা হয়। যার জন্য প্রয়োজন অন্তত ৫ হাজার ট্রাকের। এই বিপুল পরিমাণের পণ্য পাঠাতে রাস্তা ব্যবহারের জন্য ইসলামাবাদের অনুমতি চেয়েছিল ভারত। এই মর্মে ভারত চিঠি দিয়ে পাক সরকারের অনুমতি চায় যাতে ট্রাকগুলি পাকিস্তানে ঢুকতে পারে। সেই প্রস্তাবে শুরুতেই আপত্তি জানিয়েছিল ইসলামাবাদ। পরে তালিবান ত্রাণ পেতে ইচ্ছাপ্রকাশ করে ইসলামাবাদের কাছে দরবার করে।
এরপরই বরফ গলে। তবে গোড়ার দিকে ইসলামাবাদের দাবি ছিল যে ভারতের দেওয়া খাদ্যসামগ্রী বোঝাই ট্রাকগুলি চালাবে পাকিস্তানি চালকরা। এবং রাষ্ট্রসংঘের ব্যানারে ওই কাজ হবে। কিন্তু সেই প্রস্তাবে আপত্তি জানায় নয়াদিল্লি। বলা হয়, ভারতীয় বা আফগান চালকরাই ওই ট্রাকগুলি নিয়ে যাবে। শেষমেশ তাতেই রাজি হয়েছে ইমরান খানের প্রশাসন। অবশেষে মঙ্গলবার থেকেই তীব্র খাদ্য সংকটে ভোগা ‘কাবুলিওয়ালার দেশে’ ত্রাণ পাঠানো শুরু করল ভারত।
প্রসঙ্গত, এর আগেও আফগানিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। কোভ্যাক্সিনের (Covaxin) ৫ লক্ষ ডোজ পাঠানো হয়েছিল সেদেশে। এছাড়াও ১.৬ টন চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছিল। গোটা বিষয়ের মধ্যস্থতা করেছিল হু (WHO)। আসলে গত আগস্টে তালিবান আফগানিস্তান দখল করার পর থেকে মুখ থুবড়ে পড়েছে সেদেশের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। আর তাই ভারত-সহ বিশ্বের নানা দেশই সাধারণ আফগানদারে পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করে চলেছে।