দ্রুত আধার কার্ড তৈরি ও সংশোধনে আরও সেন্টার খোলা হোক, কেন্দ্রকে আবেদন রাজ্যের
আধার কার্ড তৈরি ও সংশোধন করার ব্যবস্থা আরও দ্রুত করতে জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানাল রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থা ‘ইউআইডিএআই’ কর্তৃপক্ষকে এই মর্মে চিঠি দিয়েছে রাজ্য খাদ্য দপ্তর। গত কয়েক বছরে ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরি করতে গিয়ে আধার কার্ড সংক্রান্ত একাধিক সমস্যা নজরে এসেছে খাদ্য দপ্তরের। নতুন কার্ড তৈরি করা ছাড়াও সাধারণ মানুষের আধার কার্ডে সংশোধন করার প্রয়োজন রয়েছে। যেমন আধার কার্ডে ত্রুটি থাকায় অনেক রেশন গ্রাহকের আধার সংযুক্তিকরণ করা যাচ্ছে না। তেমনই বিশেষ করে রেশন কার্ড ও আধার কার্ডের নাম-ঠিকানায় পার্থক্য থাকায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
এই বিষয়গুলির ওপর আলোচনার পরেই ‘ইউআইডিএআই’-কে চিঠি লেখার সিদ্ধান্ত নেয় খাদ্য দপ্তর। সূত্রের খবর, ‘ইউআইডিএআই’ কর্তৃপক্ষকে লেখা চিঠিতে আধার কেন্দ্র আরও বেশি সংখ্যায় তৈরি করার দাবি জানানো হয়েছে। খাদ্য দপ্তরের এক কর্তার কথায়, ‘‘পরিকাঠামো উন্নত হলে আরও বেশি সংখ্যক রেশন গ্রাহক নিজেদের আধার কার্ড তৈরি করতে সক্রিয় হবেন। রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে গ্রাহকদের আধার নম্বর সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়ায় বিশেষ জোর দিয়েছে খাদ্য দপ্তর। সেই কাজে গতি আনতেই ‘ইউআইডিএআই’ কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
খাদ্য দপ্তর সূত্রে খবর, ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়া পর্যন্ত রাজ্যের রেশন গ্রাহকদের প্রায় ৭৮ শতাংশের আধার নম্বর সংযুক্তিকরণ হয়েছে। এখনও দু’কোটিরও বেশি গ্রাহকের আধার নম্বর যুক্ত হয়নি। কারণ, রেশন গ্রাহকদের একটি বড় অংশের আধার কার্ড নেই। এই কারণে তাঁরা সংযুক্তিকরণ করাতে পারছেন না। আধার কার্ড করার কেন্দ্র আরও বেশি সংখ্যক খোলা হলে বহু ক্ষেত্রেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
যাঁদের রেশন কার্ড ও আধার কার্ড সংযুক্তিকরণে সমস্যা রয়েছে এবং তাঁদের ক্ষেত্রে যে রেশন গ্রাহকদের আধার কার্ড নেই, তাঁদের জন্য সাময়িকভাবে ‘নমিনি’ ব্যবস্থা চালু করেছে খাদ্য দপ্তর। একই রেশন দোকানের আধার-যুক্ত কোনও রেশন গ্রাহক তাঁদের নমিনি হিসাবে খাদশস্য সংগ্রহ করতে পারেন। আপাতত তিন মাসের জন্য এই পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। প্রয়োজনে এই ব্যবস্থা তিন মাসের সময়সীমার পরেও চালাতে চাইছে খাদ্য দপ্তর। কারণ, আধারের মাধ্যমে খাদ্যশস্য দিলে স্বচ্ছতা বজায় থাকবে। শুধু আধার না থাকার জন্য কোনও প্রকৃত রেশন গ্রাহককে বঞ্চিত করা হবে না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।