আনিস হত্যাকাণ্ডে সিটেই আস্থা হাইকোর্টের, দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ
আনিস হত্যা মামলা তদন্তে সিটের উপরই আস্থা রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। এখনই অন্য কোনও সংস্থাকে দিয়ে মামলা তদন্ত করাতেও নারাজ আদালত। সিটের তদন্তের ফলাফল দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ। মামলার পরবর্তী শুনানি ২ সপ্তাহ পরে।
বৃহস্পতিবার শুনানিতে আদালত স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে যে,
১) ২ ময়নাতদন্ত জেলা জজ এর নজরদারিতে হবে। ময়নতদন্তের পর ভিসেরা নমুনা সংরক্ষণ করতে হবে।
২) মোবাইল ফোনের পরীক্ষা করবে CFSL হায়দ্রাবাদ।
৩) ফোনের ডিজিটাল ডেটার কপি CSFL হায়দ্রাবাদ নিজেদের কাছে রাখবে। আর ডিটেইল সিটকে পাঠাবে।
৪) দ্রুত তদন্ত শেষ করতে হবে সিটকে।
৫) সমস্ত রিপোর্ট আবেদনকারীর কে দিতে হবে।
৬) ২ সপ্তাহের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট জমা করতে হবে সিটকে
৭) আনিসের পরিবারকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে
৮) জেলা জজকে টি আই প্যারেডের সময় ও কাকে কাকে ডাকা হবে সেটা ঠিক করতে হবে। টি আই প্যারেডের জন্য সিট আবেদন জানাবে জেলা জজ এর কাছে।
৯) সাক্ষীদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে হবে
১০) সিটেই ভরসা হাইকোর্টের।
আনিস হত্যাকাণ্ডে একুশে ফেব্রুয়ারি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি ছিল। মামলায় আবেদনকারীর আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন, আনিসকে পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক খুন করা হয়েছে। পুলিসই আনিসকে খুন করেছে। তারপর লোক দেখানো সিট গঠন করে আইওয়াশ করার চেষ্টা করছে।
রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল আদালতকে বলেন, মামলাকারীর দাবিটা স্বাভাবিক। কিন্তু সিট গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে। মৃতের বাবা মোবাইল দিচ্ছেন না। তাই তদন্ত এগোচ্ছে না। তবুও তদন্ত চলছে। সিট ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা করবে। ইতিমধ্যে, ৩ জন পুলিস কর্মী সাসপেন্ড করা হয়েছে। ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এরপরই আনিসের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত ও তাঁর মোবাইল ফরেনসিক পরীক্ষার বিষয়ে আদালত মামলাকারীর আইনজীবীর কাছে মতামত চান। কারণ তদন্তের ক্ষেত্রে দুটোই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে আদালত মত প্রকাশ করেন। উত্তরে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, কোর্ট অফিসারের তত্ত্বাবধানে ময়নাতদন্ত হোক। জেলা বিচারকের তত্ত্বাবধানে ময়নাতদন্ত হতে পারে।