ওড়িশার সঙ্গে ড্র করে আইএসএলের শেষ চারে যাওয়া জটিল করে ফেলল মোহনবাগান
এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) ও ওড়িশা এফসি (Odisha Fc) ম্যাচের শেষে হতাশ দেখাল সবুজ-মেরুন কোচ ফেরান্দোকে। হতাশ হওয়ারই কথা স্পেনীয় কোচের। কারণ কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে ড্র করে শেষ চারে যাওয়ার প্রক্রিয়াটা জটিল করে ফেলেছে এটিকে মোহনবাগান। যদিও পয়েন্টের বিচারে আজকের ওড়িশা ম্এযাচের পরে তিনেই রয়েছে ফেরান্দোর দল। কিন্তু প্রথম চারের দলগুলিও সব গায়ে গায়ে। একে অপরের ঘাড়ের কাছে নিশ্বাস ফেলছে। ফলে আজ ওড়িশাকে হারালে আরও একটু ভাল জায়গাতে থাকত এটিকে মোহনবাগান। সেখানে আজ ম্যাচটা ড্র করার ফলে ফেরান্দো স্বাভাবিক ভাবেই হতাশ।
এদিন খেলার ৫ মিনিটে গোল করে রিডিম এগিয়ে দিয়েছিলেন ওড়িশাকে। যদিও ওড়িশা বেশিক্ষণ গোল ধরে রাখতে পারেনি। ৮ মিনিটেই কাউকো পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান সবুজ-মেরুন ব্রিগডের হয়ে। তার পরে ওড়িশা পেনাল্টি পেলেও তা থেকে গোল করতে পারেনি। পরে গোল করার সহজ সুযোগ পেয়েছিল ওড়িশা। এটিকে মোহনবাগানও গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। কিন্তু কাজের কাজটাই হয়নি। ফলে দু’ দলের খেলা শেষ হল ১-১।
খেলার পাঁচ মিনিটের মধ্যে এগিয়ে গিয়েছিল ওড়িশা। রিডিমের বাঁ পায়ের শট ওড়িশার জালে জড়িয়ে যায়। অবশ্য ডান দিক থেকে যখন গড়ানে সেন্টার করা হচ্ছে তখন রিডিমের সঙ্গে ছিলেন প্রতীম কোটাল। তাঁকে ফাঁকি দিয়ে ওড়িশাকে এগিয়ে দেন রিডিম। হুগো বুমোসকে ওড়িশার পেনাল্টি বক্সে ফেলে দেন ওড়িশার সাহিল। পেনাল্টি পায় এটিকে মোহনবাগান। ওড়িশার গোলকিপারকে উলটো দিকে ফেলে দিয়ে এটিকে মোহনবাগানকে ম্যাচে ফেরান জনি কাউকো।
২২ মিনিটে পেনাল্টি পায় ওড়িশা। আরিদাইকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেন তিরি। পেনাল্টি থেকে অবশ্য গোল করতে পারেননি জাভি। বিরতির সময়ে খেলার ফল ছিল ১-১। দ্বিতীয়ার্ধে দু’ দলই গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল। বিশেষ করে শেষের দিকে দু’ দলই গোল করার মতো জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল। শেষের দিকে দু’ বার হলুদ কার্ড দেখায় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন রয় কৃষ্ণ (Roy Krishna)।