উত্তরবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

মার্চে রেলের ‘সামার ফেস্টিভ্যাল’ করার সিদ্ধান্ত, ভাড়া কমছে টয় ট্রেনেরও

February 24, 2022 | 2 min read

নতুন অর্থবর্ষ ১ এপ্রিল থেকে হেরিটেজ টয়ট্রেনের জয়রাইডের ভাড়া কমে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে জয়রাইডের পরিষেবা আরও আকর্ষণীয় করতে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার এনজেপিতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের এডিআরএম সঞ্জয় চিলওয়ার এ কথা জানিয়েছেন। এছাড়া হেরিটেজ টয়ট্রেনকে আরও জনপ্রিয় করে তোলার পাশাপাশি এই অঞ্চলের পর্যটনের প্রসারের লক্ষে মার্চ মাসজুড়ে ‘সামার ফেস্টিভ্যাল’ করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে ।

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের কাটিহার ডিভিশনের এডিআরএম বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, আমরা টয়ট্রেনকে ভিত্তি করে উইন্টার ফেস্টিভ্যাল করে ভালো সাড়া পেয়েছি। সেই উৎসবে অংশ নেওয়া বিভিন্ন জায়গার পর্যটদের কাছ থেকে অনেক ধরনের প্রস্তাব পেয়েছিলাম। পর্যটকদের চাহিদা থাকায় ১ মার্চ মাস থেকে ডিএইচআরের উদ্যোগে সামার ফেস্টিভ্যাল শুরু হতে চলেছে। তা চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। শিলিগুড়ি জংশন থেকে এই উৎসবের সূচনা হবে। উৎসব চলবে দার্জিলিং, ঘুম ও কার্শিয়াংয়ে স্টেশনে। এডিআরএম বলেন, মূলত এই অঞ্চলের শিল্পী ও নানা ধরনের হস্তশিল্পকে দেশ বিদেশের পর্যটকদের সামনে তুলে ধরার লক্ষে আমরা এ ধরনের উৎসবের উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিটি জায়গায় সেখানকার স্থানীয় শিল্পীরা তাঁদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করবেন। স্থানীয় সংস্কৃতির পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস ও অন্যান্য হস্তশিল্প সামগ্রীও উৎসবে দেশ বিদেশের পর্যটকদের কাছে তুলে ধরার ব্যবস্থা আমরা করে দেব। এভাবে এই অঞ্চলের শিল্প সাহিত্যের সঙ্গে বাইরের পর্যটকদের পরিচয় ঘটলে এখানকার পর্যটনেরও প্রসার ঘটবে। আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে হেরিটেজ টয়ট্রেন। 


এতদিন দার্জিলিং থেকে ঘুম স্টেশন পর্যন্ত হেরিটেজ টয়ট্রেনের জয়রাইডের ভাড়া ছিল ১৭২০ টাকা। ১ এপ্রিল থেকে এই ভাড়া কমে গিয়ে ১৫০০ টাকা হচ্ছে। এদিন এডিআরএম সঞ্জয় চিলওয়ার বলেন, ভাড়া কমানোর পাশাপাশি আমরা পরিষেবাও উন্নত করার দিকে জোর দিয়েছি। এতদিন জয়রাইড একটি ফার্স্ট ক্লাস এসি কোচ ও একটি ভিস্তাডোম কোচে চলত।  এখন থেকে জয়রাইডে সব ভিস্তাডোম কোচ থাকবে। আর এই ভিস্তাডোম কোচ বাইরের থেকে আনা হচ্ছে না। অত্যাধুনিক এই বিলাসবহুল ভিস্তাডোম কোচ শিলিগুড়ি জংশনে তৈরি হচ্ছে। জয়রাইড পুরোপুরি ভিস্তাডোম কোচে চালিয়েও কেন ভাড়া কমানোর সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হলে এডিআরএম বলেন, করোনার ধাক্কা সামলে পর্যটনকেন্দ্র আবার খুলে গিয়েছে। 


সামনেই পর্যটন মরশুম রয়েছে। দেশ বিদেশের পর্যটকরাও ধীরে ধীরে আবার এই অঞ্চলে আসতে শুরু করেছেন। এসব কথা মাথায় রেখেই আমরা টয়ট্রেন পরিষেবাকে  নানা ভাবে আকর্ষণীয় করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি। যাতে দেশ বিদেশের পর্যটকদের কাছে টয়ট্রেন আরও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#North Bengal, #Toy Train, #march, #Summer festival

আরো দেখুন