কবর থেকে আনিসের দেহ তুলতে বাধা, পুলিশকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ এলাকাবাসীর
বৃহস্পতিবার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আনিস খানের খুনের মামলায় দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেই মতো শনিবার ভোরে আনিসের দেহ আনতে গ্রামে যায় পুলিস। শুক্রবার ইঙ্গিত মিলেছিল, আনিস মামলার তদন্তে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে পরিবার। কিন্তু ফের বিপত্তি! আনিসের দেহ তুলতে গিয়ে গ্রামবাসীর ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল পুলিসকে। ফলে কবর থেকে দেহ না নিয়েই ফিরে যেতে বাধ্য হলেন আধিকারিকরা।
স্থানীয় বিডিও এবং বিএমওএইচ-এর উপস্থিতিতে শনিবার ভোরে মাইকিং করে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, আনিসের দেহ তোলা হবে। এর পরেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। আনিসের আত্মীয়-প্রতিবেশী এবং গ্রামবাসীদের অভিযোগ, শুক্রবার রাতে সিট আনিসের পরিবারকে নোটিস দেয়, শনিবার ভোট ৫টায় আনিসের দেহ কবর থেকে তোলা হবে৷ কিন্তু আনিসের বাবা আরও দু’দিন সময় চেয়ে নেন৷
আনিসের বাবা জানিয়েছিলেন, তিনি অসুস্থ৷ আরও দু’দিন সময় দেওয়া হোক৷ সোমবার সকাল ১০টায় দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য তোলা হোক আনিসের দেহ৷ গ্রামবাসীদের বক্তব্য, আনিসের বাবার সঙ্গে পুলিসের কথা হওয়ার পরেও সোমবার না এসে কেন শনিবার এল পুলিশ? কার নির্দেশে এই পদক্ষেপ, তা বিডিওর কাছে জানতে চান তাঁরা। পুলিস ও সরকারি আধিকারিকরা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলেও বিক্ষোভ থামেনি।
ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই দেহ না তুলে ফিরে যেতে বাধ্য হয় পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সিটকে তদন্তে সহযোগিতায় রাজি হওয়ার পরেও কেন এই বিক্ষোভ, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে? আনিসের বাবার অনুরোধের পরেও কেনই বা তড়িঘড়ি আনিসের দেহ তুলতে যাওয়া হল? তা নিয়েও রহস্য দানা বেঁধেছে। শুক্রবার উলুবেড়িয়ার কোর্টে গিয়ে টিআই প্যারেড অংশ নেন আনিসের বাবা সালেম খান৷
জেল থেকে বেরিয়ে এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি সালেম। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আনিসের পরিবারের আইনজীবী ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, কিছুই বলার নেই। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে। তদন্ত জারি রেখেছে সিট। সূত্রের খবর, শুক্রবার জেলের ভেতরেই সিটের হাতে আনিসের মোবাইল তুলে দেওয়া হয়। ওই মোবাইল পরীক্ষার জন্য হায়দরাবাদের সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে।