আনিস মামলায় ইচ্ছে করেই তদন্তে বাধা দেওয়া হচ্ছে, দাবি রাজ্য পুলিশের
নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের দেহ কবর থেকে তুলতে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় রাজ্য পুলিশকে। দেহ কবর থেকে তুলতে দিলেন না স্থানীয়রা। আজ, শনিবার দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ যায় সমাধিক্ষেত্রে। কিন্তু তখনই গ্রামবাসীরা পুলিশকে বাধা দেয়। শুক্রবার আনিসের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর বাড়িতে অনুমতি চাইতে যায় পুলিশ। তখন ছাত্রনেতার বাবা জানান, তাঁরা সহযোগীতা করবেন। সেইমতো গিয়ে অনেক চেষ্টা করা হলেও স্থানীয় বাসিন্দারা দেহ তুলতে দেয়নি বলে জানাচ্ছে পুলিশ।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রাজ্য পুলিশ। রাজ্যপুলিশের অফিসিয়াল হ্যান্ডেল থেকে টুইট করে বলা হয়েছে, ‘মহামান্য উচ্চ আদালতের নির্দেশে সিট আনিস খান হত্যা মামলার তদন্ত করছে। সেই তদন্ত যাতে সুষ্ঠ ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া না যায় তার জন্যেই বিক্ষোভের পরিকল্পনা।’
আনিস খান হত্যা মামলা নিয়ে এখন উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই এই মামলার তদন্তের দায়ভার নিয়েছে রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট। তদন্তের জন্য দ্বিতীয়বার আনিস খানের মরদেহের তদন্ত করতে চায় সিট। কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে নির্দেশে দেওয়া হয়েছিল যে, জেলা বিচারকের উপস্থিতিতে এই ময়নাতদন্ত করতে হবে। আর ময়নাতদন্তের রিপোর্টের একটি করে প্রতিলিপি আনিস খানের পরিবার এবং মামলাকারীকে দিতে হবে। সিবিআই দিয়ে তদন্ত আপাতত প্রয়োজন নেই।
ঠিক কী ঘটেছে সমাধিক্ষেত্রে? সমাধিক্ষেত্রে ভোরবেলা চলে আসে পুলিশবাহিনী। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, পরিবারের পক্ষ থেকে আনিসের বাবা বা অন্য কোনও সদস্যের সেখানে উপস্থিত থাকার কথা। কিন্তু তেমন কাউকে দেখা যায়নি। বরং স্থানীয় বিডিও এবং বিএমওএইচ উপস্থিত ছিলেন। এরপর মাইকিং করে জানানো হয়, আনিসের দেহ তোলা হবে। তখনই গ্রামবাসীরা রে রে করে তেড়ে আসেন। আর বাধা দেন।
এই পরিস্থিতিতে গ্রামবাসীদের প্রবল বাধায় কার্যত খালি হাতেই ফিরে যেতে হয় সিটের সদস্য এবং বিডিওকে।