রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার ভোটের জন্য থাকছে ৪৪ হাজার রাজ্য পুলিশ

February 26, 2022 | 2 min read

রবিবার বাংলায় পুরযুদ্ধ (WB Municipal Election 2022)।আগামী বছর পঞ্চায়েত ভোটের (Corporation Vote 2022) আগে এটাই রাজ্যে বড় নির্বাচন। আদালতের চাপে পড়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ১০৮টি পুরসভার (WB Municipal Election) ভোটের জন্য এলাহি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে।আগেই ১০৮ জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। আছেন ১৬ জন বিশেষ পর্যবেক্ষক। এছাড়া কমিশন শুক্রবার আরও দশজন আইএএস (IAAS) অফিসারকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেছে। এক এক জনকে কয়েকটি পুরসভার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, রবিবার সব মিলিয়ে ৪৪ হাজার পুলিসকর্মীকে কাল পথে নামানো হবে। অফিসার, কনস্টেবল, সিভিক ভলান্টিয়ার মিলিয়ে ৪৪ হাজার পুলিসকর্মী নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন।

কমিশন সূত্রের খবর, কাল ১০৮টি পুরসভার ২২৭৬ টি ওয়ার্ডে কাল ভোট (Corporation Election 2022)। মোট বুথ ১০ হাজার ৮১৩। ভোটার সংখ্যা ৯ কোটি ৫৫ লক্ষ ৯ হাজার ৭৯০। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, কলকাতা সহ পাঁচ পুরনিগমের ভোট কার্যত প্রহসন হয়েছে। এর জন্যই বিজেপি কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ভোট চেয়েছিল। এই দাবিতে তারা হাইকোর্ট হয়ে সুপ্রিম কোর্টে পর্যন্ত গিয়েছে। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট বিষয়টি কমিশনের বিবেচনার উপর ছেড়ে দিয়েছিল পাঁচ পুরনিগমের ভোটের সময়। কমিশন রাজ্য পুলিস দিয়েই ভোট করায়। রবিবারের পুরভোটেও বিরোধীরা কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল। হাইকোর্ট এবারেও কমিশনকেই সিদ্ধান্ত নিতে বলে। বিজেপি হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়। সেখানেও বাহিনীর দাবি খারিজ হয়ে গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত রাজ্য পুলিস দিয়েই করানো হচ্ছে রবিবারের ভোট।

আদালত এবার ভোট নিয়ে আরও কড়া অবস্থান নিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট পরিষ্কার বলে দিয়েছে, ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে করাতে হবে। তা যদি না হয়, তবে দায় বর্তাবে কমিশনের উপরে। কমিশন জানিয়েছে, নিরাপত্তার যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবু বিরোধীরা কমিশনের উপর আস্থা রাখতে পারছে না। তারা আগেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে শাসকদলের হাতের পুতুল বলে কটাক্ষ করেছে।

এরই মধ্যে আমতায় ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যু ঘিরে বাংলার রাজনীতি উত্তাল। মৃতের পরিবার সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড়। বিরোধীরাও সিবিআই কিংবা বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি করছেন। রাজ্য সরকার বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করেছে। পরিবার এবং বিরোধীরা সিটের উপর ভরসা রাখতে পারছে না।


রবিবারের পুরভোটে আমতা-কাণ্ডের প্রভাব কতটা পড়বে, তা ভোটের ফল প্রকাশের পর বোঝা যাবে। পুরভোটের মতো আমতা নিয়েও বিরোধীদের সেই একই দাবি, রাজ্য পুলিসকে বিশ্বাস করা যায় না। এই অবিশ্বাসের আবহেই রাত পোহালে শুরু পুরযুদ্ধ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#police, #West Bengal Municipal Election 2022

আরো দেখুন