ব্যাটে ব্যর্থ রোহিত, শ্রেয়াসের দাপটেই লঙ্কাকে হারিয়ে ৩-০-এ টি-২০সিরিজ জয় ভারতের
শেষ ম্যাচেও পারল না শ্রীলঙ্কা। দাসুন শনাকার দলকে অনায়াসে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে চুনকাম করল রোহিত শর্মার ভারত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর এ বার শ্রীলঙ্কাও। সেই সঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে টানা ১২ ম্যাচ জিতল ভারত। রবিবার ভারত জিতল ৬ উইকেটে।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার নেতা দাসুন শনাকা। কিন্তু বোঝা যায়নি শুরুতেই এ ভাবে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়বে তারা। প্রথম ওভারের শেষ বলে দনুষ্কা গুণতিলকার ফিরে যাওয়া থেকে শুরু। ৮.৩ ওভারের মধ্যে ২৯ রানে ৪ উইকেট পড়ে গিয়েছিল তাদের। রান তোলার গতি তো পরের ব্যাপার। কত রানের মধ্যে তাদের ইনিংস শেষ হবে, সেই নিয়ে হয়তো বাজি ধরা শুরু করে দিয়েছিলেন ধর্মশালায় হাজির সমর্থকরা।
তারপরেও শ্রীলঙ্কা যে ১৪৬ রানে পৌঁছল, তার পিছনে অবদান অধিনায়ক শনাকারই। ষষ্ঠ উইকেটে চামিকা করুণারত্নের সঙ্গে অসাধারণ জুটি তৈরি করলেন তিনি। চামিকা একটা দিক ধরে রেখেছিলেন। অন্য দিক থেকে ভারতীয় বোলারদের উপর ক্রমশ দাপট বাড়াচ্ছিলেন শনাকা। প্রথম দিকে ধীরগতিতে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে গেলেও, শেষ দিকে শনিবারের মতোই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলেন তিনি। হর্ষল পটেল রবিবারও শেষ দিকে মার খেলেন। একই অবস্থা হল রবি বিষ্ণোইয়েরও। শেষ পর্যন্ত ৩৮ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত থাকলে শনাকা।
ভারত আগের ম্যাচের মতোই শুরুতে হারিয়েছিল রোহিতকে। দুষ্মন্ত চামিরা এই নিয়ে ৬ বার আউট করলেন ভারতের নেতাকে। কিন্তু তিনে নামা শ্রেয়স আয়ার ফের নিজেকে প্রমাণ করলেন। চলতি সিরিজে প্রত্যেকটা ইনিংসেই অর্ধশতরান হল তাঁর। বিরাট কোহলীর অনুপস্থিতিতে তিন নম্বরে নিজের জায়গাটা যেন পোক্ত করে ফেলেছেন তিনি। রবিবারও দ্রুত দু’টি উইকেট পড়ে যাওয়ার পরেও ঘাবড়ালেন না তিনি। ঠান্ডা মাথায় নিজের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে গেলেন।
শনিবার রান তাড়া করে যাঁরা ভারতকে জিতিয়েছিলেন, রবিবারও ম্যাচ শেষে ক্রিজে দেখা গেল তাঁদেরই। শ্রেয়স অপরাজিত থাকলে ৪৫ বলে ৭৩ রানে। রবীন্দ্র জাডেজা ক্রিজে থাকলেন ১৫ বলে ২২ রান করে।