বেঙ্গালুরুকে ২-০ গোলে হারিয়ে আইএসএল জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করল মোহনবাগান
বেঙ্গালুরু এফসিকে হারিয়ে আইএসএলের শিল্ড জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করল মোহনবাগান (Mohun Bagan)। লিগ পর্বের শীর্ষে থাকা দল পায় শিল্ড। পাশাপাশি এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার ছাড়পত্র। ২-০ গোলে সুনীলদের হারিয়ে ১৮ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট সবুজ মেরুনের। লিগ টেবিলের তিন নম্বরে থাকলেও, শীর্ষে থাকা হায়দরাবাদ এফিসর থেকে মাত্র ১ পয়েন্ট পিছিয়ে হুয়ান ফেরান্দোর দল। লিগ পর্বে এখনও দুটি ম্যাচ বাকি সবুজ মেরুনের। সেই দুটি ম্যাচ জিতলে এবং শীর্ষে থাকা হায়দরাবাদ এফসি একটা ম্যাচে ধাক্কা খেলেই শীর্ষে থেকে লিগ পর্ব শেষ করার সুযোগ চলে আসবে মোহনবাগানের সামেন। এদিনও সবুজ মেরুনের জয়ের নায়ক দুই ভারতীয় ফরোয়ার্ড। লিস্টন কোলাসো (Liston Colaco) ও মনবীর সিং (Manvir Singh)। প্রথমার্ধে ফ্রি-কিক থেকে লিস্টনের দুরন্ত গোল। দ্বিতীয়ার্ধে বেঙ্গালুরুর ডিফেন্সের ভুলের সুয়োগ নিয়ে ২-০ করেন মনবীর। বৃহস্পতিবার চেন্নায়িন ও আগামী সোমবার লিগের এক নম্বরের দৌড়ে থাকা জামশেদপুরের সঙ্গে খেলা মোহনবাগানের। একদিকে মোহনবাগান যেখানে লিগের শীর্য স্থানের জন্য দৌঁড়চ্ছে, তখন লিগ থেকে ছুটি সুনীলের বেঙ্গালুরু এফসির।
খেলার প্রথমার্ধে সমানে সমানে লড়াই চালায় দুই দল। তবে সুনীলদের বক্সে বেশি সচল দেখাচ্ছিল বাগান ফুটবলারদের। কিন্তু সমস্যা হচ্ছিল আনফিট হুগো বোমাসকে নিয়ে। মনবীর ও লিস্টনকে যোগ্য সংগত দিতে পারছিলেন না হুগো। এর প্রভাব পরছিল দলের খেলায়। ম্যাচের গতির সঙ্গে তাল মেলাতে হুগো বোমাসকে তুলে নেন বাগান কোচা হুয়ান ফেরান্দো। বেঙ্গালুরুর আক্রমণকে চাপে রাখতে মাঠে নামান দীপক টাঙরিকে। হুগে মাঠ ছাড়ায় আবার নিজেদের মত করে খেলা গোছাতে শুরু করেন লিস্টন ও মনবীর। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে ফ্রি-কিক পায় সবুজ মেরুন। দুরন্ত শটে বাগানের গোলের খাতা খুলে ফেলেন লিস্টন কোলাসো। টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা গোল গুলির একটা। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে জ্রেসিংরুমে ফেরে মোহনবাগান।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও মাঝমাঠ দখলের লড়াই সমানে সমানে। তবে এবারও আক্রমণের দাপট বেশি মোহনবাগানের। লিস্টন-মনবীরের পেছনে থেকে বাগান আক্রমণকে নেতৃত্বে দিতে শুরু করেন জনি কাউকো। একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করে মোহনবাগান। এই সময় নিজে গোল করতে গিয়ে সুয়োগ নষ্ট করেন মনবীর। লিস্টনের শট পোস্টে লেগে ফিরে আস। বেঙ্গালুরুর তখন ফেরান্দোর দলকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। সুনীল ছেত্রী একেবারেই ছন্দে নেই। জাতীয় দলের সতীর্থ সন্দেশের কাছে বারবার হার মানতে হয় তাঁকে। এদিকে ৬৭ মিনিটে লিস্টনে তুলে প্রবীর দাসকে মাঠে নামান বাগান কোচ। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে। গোলের জন্য না ঝাঁপিয়ে বরং দরজা বন্ধ করে বেঙ্গালুরুর গোল আটকাতে বেশি মন দিতে গেলেন তিনি। নিজের বক্সের সামনে লোক বাড়াতে গিয়ে বেঙ্গালুরুকে অনেকটা উঠে আসার ছাড়পত্র দিয়ে দিলেন। আক্রমণ ভুলে ক্রমাগত কোনঠাসা হয়ে পরেত শুরু করে ফেরান্দোর দল। বল দখলের লড়াইয়েও পিছিয়ে পরে সবুজ মেরুন। তবে খেলার গতির বিরুদ্ধে ও বেঙ্গালুরুর ভুলে ৮৫ মিনিটে মোহনবাগানের জয় নিশ্চিত করে দেন মনবীর সিং।