মিলছে না স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবা, ৯টি হাসপাতাল বন্ধ করল রাজ্য
স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবা দেওয়ার মতো ডাক্তার-নার্স না থাকায় রাজ্যের ৯টি প্রাইভেট হাসপাতাল-নার্সিংহোম বন্ধ করে দিল স্বাস্থ্যভবন। ৮টি নার্সিংহোমের গ্রেডেশন নামিয়ে দেওয়া হল। এ, বি, সি এবং আর—এই ৪টি গ্রেডের মধ্যে তারা ছিল বি গ্রেডের। তাদের সি গ্রেডে নামিয়ে দেওয়া হল। এছাড়া পরিকাঠামোগত খামতির জন্য সব মিলিয়ে ৯০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে কয়েকটি প্রাইভেট হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমকে।
সূত্রের খবর, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে পরিষেবা দেওয়ার উপযুক্ত দাবি করে রাজ্যজুড়ে প্রচুর হাসপাতাল ও নার্সিংহোম এই প্রকল্পে নাম লিখিয়েছে। প্যানেলভুক্ত হাসপাতালগুলি আদৌ পরিষেবা দেওয়ার উপযুক্ত কি না—প্রতিশ্রুতিমতো তাদের ডাক্তার, নার্স, সিসিইউ-এইচডিইউ, শয্যা, বিভাগ, পরিকাঠামো সব ঠিকঠাক আছে কি না, দেখতে স্বাস্থ্যভবন জোরদার অভিযান শুরু করেছে।
প্রাথমিকভাবে ১০ জেলার ৬২টি প্রাইভেট হাসপাতাল-নার্সিংহোমে অভিযান চালিয়েছে স্বাস্থ্যভবন। পাঠানো হয়েছে বিশেষ টিম। জেলাগুলি হল— কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া ও বীরভূম। এরপরই ধরা পড়েছে হাজারও একটা গাফিলতি। শনিবার স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী খবরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এই অভিযান চলবে। ৯টি হাসপাতালকে সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়। মুচলেকা দেওয়ার পর কয়েকটি চালু হয়েছে। জরিমানা আদায় চলছে। আরও আদায় বাকি আছে। উদ্দেশ্য হল পরিষেবা আরও উন্নত করা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় এই মুহূর্তে প্রায় ২৩০০ হাসপাতাল-নার্সিংহোম রয়েছে। তার মধ্যে ১৫০০টিই হল প্রাইভেট। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে স্বাস্থ্যসাথী শাখায় অভিযোগ আসছিল প্রধানত ৩টি। ১) কার্ড থাকা সত্ত্বেও পরিষেবা না দেওয়া ২) কার্ড ব্লক করে বিল চড়চড় করে বাড়ানো ও নানা অসাধু পন্থা অবলম্বন করা ৩) প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার সময় ডাক্তার-নার্স সহ বিভিন্ন লোকবল ও পরিকাঠামোর বিষয়ে বিভিন্ন দাবি করা সত্ত্বেও, সেসব না থাকা।
স্বাস্থ্যসাথী হেল্পলাইনের মাধ্যমে কার্ড থাকা সত্ত্বেও পরিষেবা না দেওয়া অভিযোগগুলির নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। কার্ড ব্লক করে বিল বাড়ানো ও অসাধু উপায় অবলম্বন করার অভিযোগগুলির জন্য ইতিমধ্যেই ৬০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এইবার শুরু হয়েছে পরিকাঠামোর খামতি ধরতে জোরদার অভিযান।