কামারহাটিতে নিষ্ক্রিয় পুলিশ! বিস্ফোরক অভিযোগ মদনের
পুরভোটের সকালে উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan Mitra) গলায় উলটো সুর। শাসকদলের কর্মীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ঠিকমতো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেই অভিযোগ তাঁর। ঊর্দিধারীদের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি। ভোট দিতে যাওয়ার আগে এদিন সকালে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজোও দেন তৃণমূল নেতা।
পুরভোটের আগে থেকেই উত্তপ্ত কামারহাটির বিস্তীর্ণ এলাকা। শনিবার রাতে ওই পুরএলাকার ৫ এবং ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। বিধায়কের দাবি, তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ভয় দেখাতে এসব করছে বিরোধীরা। তবে নিরপেক্ষতার নামে পুলিশ তৃণমূল কর্মীদের উপর অত্যাচার করছে বলেও অভিযোগ মদন মিত্র। তাঁর দাবি, পুলিশকে কেউই সমর্থন করে না। যদিও পুলিশকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি বলেন, “যেখানে অযথা জমায়েত হয়েছে তা হঠাতে এবং বিক্ষোভকারীদের রুখতে পুলিশ নিরপেক্ষভাবে কাজ করেছে।”
বোমাবাজি নিয়ে যদিও বিশেষ মাথাব্যথা করতে রাজি নন তৃণমূলের ‘কালারফুল’ বিধায়ক। স্বমেজাজে তিনি বলেন, “পুজো, বিয়েতে বোমা না পড়লে জমে না। যেগুলো পড়ছে সেগুলো বোমা না। কালিপটকা।” বিরোধীদের তোলা অশান্তির অভিযোগ যেন ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন মদন। তাঁর দাবি, “আমাদের লোকেরা গুন্ডামি করে না। যদি করত তাহলে তো ছাপ্পা ভোট হত। কই তা তো হচ্ছে না। শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে।”
এদিন ভোট দিতে যাওয়ার আগে দক্ষিণেশ্বরে পুজোও দেন মদন মিত্র। শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য ভবতারিণীর কাছে প্রার্থনা করেন তিনি। আরও একবার ভোটদানের আরজিও জানান সকলকে। ভোটে জিতলে কামারহাটিকে সাজিয়ে দেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি। এদিকে, এবার পুরভোটে লড়াই করছেন মদন মিত্রের পুত্রবধূ মেঘনা মিত্র। কামারহাটির ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী তিনি। ভোটের দিন পোড় খাওয়া রাজনীতিক শ্বশুর মদন মিত্র পুত্রবধূকে কী পরামর্শ দিলেন? যদিও তাঁর দাবি, “আমার সঙ্গে মেঘনার কোনও কথা হয়নি।”