দেউচা-পাঁচামির জমিদাতাদের স্বার্থ রক্ষায় দফায় দফায় আলোচনা করছে রাজ্য সরকারের গড়া কমিটি
বীরভূমের দেউচা-পাঁচামি এলাকায় প্রস্তাবিত কয়লাখনির জন্য ইতিমধ্যেই জমিদাতাদের ক্ষতিপূরণ বাবদ সারকারের তরফে চেক, পাট্টা এবং চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। অন্যদিকে জমিকে কেন্দ্র করে খনি বিরোধী আন্দোলন চলছে। এমতবস্থায় শনিবার সেখানাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বললেন দেউচা পাঁচামি নিয়ে সরকারের তৈরি করা কমিটির প্রধান পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং কমিটির আহ্বায়ক তন্ময় ঘোষসহ কমিটির বাকি সদস্যেরা।
প্রসঙ্গত, কয়লা খনি তৈরি হলে স্থানীয় বাসিন্দা, আদিবাসী মানুষদের স্বার্থ ও অধিকার কোনভাবেই যাতে লঙ্ঘিত না হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখতেই এলকাবাসী ও সরকারের সমন্বয় সাধনের জন্য একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। সেই কমিটির প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। গতকাল বিকেলে সিউড়িতে রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের অতিথি নিবাসে প্রস্তাবিত খনি এলাকার অধিবাসীদের নিয়ে কমিটির সদস্যেরা বৈঠক করেন। এর আগেও এলাকার মানুষদের সঙ্গে কমিটি একাধিকবার কথা বলেছেন।
গতকালের বৈঠকের পরে অভিনেতা পরমব্রত জানান, ‘এখন এলাকার কী পরিস্থিতি, মানুষের সুবিধা অসুবিধা, ক্ষতিপূরণ প্যাকেজ এবং চাকরি দেওয়া নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া, সেই ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে এসেছিলাম। বৈঠকের সারমর্ম উপদেষ্ট কমিটি হিসেবে সরকারকে জানাব।’
কমিটির সদস্যরা নিয়মিত এলাকার মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, খোঁজখবর নিচ্ছেন, এলাকার মানুষের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে প্রশাসনকে অবগত করছেন তারা। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, খনি হলে যারা সমস্যায় পড়তে পারেন, এমন কিছু লোকজন ও কিছু বহিরাগত, স্থানীয় মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে কমিটির সদস্যদের একাংশের মত, ‘সকলের সঙ্গে কথা বলার দরকার নেই। এলাকার কিছু মানুষের সঙ্গে কথা বললেই সেখানকার অবস্থা সম্পর্কে আঁচ পাওয়া যায়।’