বিনোদন বিভাগে ফিরে যান

পারিবারিক ঐতিহ্য মেনেই মার্চ মাসে কলকাতার গঙ্গায় মিশবে ডিস্কো সম্রাটের অস্থি

February 28, 2022 | 2 min read

পারিবারিক ঐতিহ্য মেনেই বাপি লাহিড়ীর অস্থি ভাসাতে মুম্বই থেকে কলকাতায় আসতে চলেছে লাহিড়ী পরিবার। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহেই আউট্রাম ঘাটে পৌঁছে গঙ্গায় সুরকারের অস্থি ভাসাবেন তাঁর দুই সন্তান। বাপি লাহিড়ীর ছেলে বাপ্পা লাহিড়ীও সঙ্গীত জগতের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর মেয়ে রিমা লাহিড়ীও এক সময় গান গাইতেন। অনুরাগীদের মতোই বাপি লাহিড়ীর স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা তাঁর সৃষ্টিকে আঁকড়ে ধরেই শিল্পীকে অমর করে রাখতে চান। বাপি লাহিড়ীর সৃষ্টি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকে। এবার জন্মভূমিতেই পঞ্চভূতে বিলীন হবেন কিংবদন্তি সুর স্রষ্টা।

প্রসঙ্গত, বাপি লাহিড়ীর বাবা সংগীতশিল্পী অপরেশ লাহিড়ীর অস্থিও কলকাতার গঙ্গাতেই ভাসানো হয়েছিল। তাই পরিবারের ইচ্ছে বাপির অস্থিও কলকাতার গঙ্গাতেই বিসর্জন হোক। লাহিড়ীর পরিবারের এই ইচ্ছেপূরণে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সমস্তরকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

বিগত ১৬ই ফেব্রুয়ারি অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিতে আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি শিল্পী বাপি লাহিড়ী। সুরের যাদুতে তিনি মুগ্ধ করেছিলেন আসমুদ্রহিমাচল। বঙ্গতনয়ের বিশ্ব জয়ে গর্বিত হয়েছিল আপামর বাঙালি। তাঁর সৃষ্ট সঙ্গীতের মাদকতায় আট থেকে আশি সকলেই কাবু। ডিস্কো সম্রাট বাপি লাহিড়ীর মৃত্যুশোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি সঙ্গীত প্রেমীরা। শোক কাটিয়ে উঠতে পারেনি তাঁর পরিবারও। ইতিমধ্যেই বাপি লাহিড়ীর পারলৌকিক ক্রিয়া শেষ হয়েছে।

ছোটবেলা থেকেই গান বাজনার মধ্যে দিয়ে বেড়ে ওঠেন বাপি, বাবা ও মা দু’জনেই ছিলেন সঙ্গীত জগতের মানুষ। মাত্র ৩ বছর বয়সেই তবলা বাদক হিসেবে সঙ্গীত জীবন শুরু করেন বাপি। ২০২০ সালে বাগী ৩ ছবির ভাঙ্কাস গানটিই ছিল তাঁর কর্মজীবনের শেষ কাজ। পাঁচ দশকেরও দীর্ঘ সময় যাবৎ রাজত্ব করেছেন ভারতীয় পপ সম্রাট, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী হিসেবে ভারতীয় সঙ্গীতে যে অবদান তিনি রেখে গেলেন তা অপরিসীম। গত শতকের আটের দশকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের জগতে পপ-ডিস্কো গানের অন্যতম পুরোধা ছিলেন বাপি। ‘ডিস্কো ডান্সার’ (১৯৮২), ‘ডান্স ডান্স’ (১৯৮৭) মতো একের পর এক ছবিতে করা তাঁর সুর সেই সময়ের তরুণ প্রজন্মকে আন্দোলিত করেছিল। তবে কেবল পপ বা ডিস্কো নয়, রোম্যান্টিক গানেও তিনি ছিলেন অনন্য। চলতে চলতে ছবিটিই তার প্রকৃষ্ট প্রমান। ২০১১ সালে ‘ডার্টি পিকচার’ ছবিতে ‘উ লা লা’ গানের মধ্যে দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, প্রজন্মের পর প্রজন্মকে নিজের সুরের মূর্ছনায় মশগুল করে রাখার যাদুক্ষমতায় বলীয়ান ছিলেন তিনি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Bappi lahiri, #mortal remains

আরো দেখুন