দীপা কর্মকারকে সাসপেন্ড করল আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশন? ক্রীড়ামহলে বিতর্ক
ভারতীয় ক্রীড়ামহলকে রীতিমতো নাড়িয়ে দেওয়ার মতো খবর। রিও অলিম্পিকে অল্পের জন্য যিনি পদক হাতছাড়া করেছেন, দেশের জিমন্যাস্টিক্স যিনি বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছেন, সেই দীপা কর্মকারকে (Dipa Karmakar) নাকি সাসপেন্ড করা হয়েছে। এমনই তথ্য ইন্টারন্যাশনাল জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশনে। তবে কী কারণে সাসপেন্ড করা হয়েছে দেশীয় জিমন্যাস্টিক্সের পোস্টার গার্লকে তার বিস্তারিত উল্লেখ নেই সেই ওয়েবসাইটে।
দীপাকে সাসপেন্ড করার ঘটনায় দেশ বিদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। দীপার কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ”দীপা আগেই জিমন্যাস্টিক্স ছেড়ে দিয়েছে। কেন ওকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, সেই বিষয়ে সরকারি ভাবে আমরা জানি না। দীপার একটা লিগ্যাল অ্যাডভিজরি বোর্ড আছে। তাদের কাছে জানানো হয়েছে সব।” বিষয়টা দীপার লিগ্যাল অ্যাডভিজরি বোর্ড দেখবে বলে এড়িয়ে যান বিশ্বেশ্বর। কিন্তু দীপা জিমন্যাস্টিক্স ছেড়ে দিয়েছে আগেই, কোচের এই মন্তব্য কিন্তু নতুন করে ধোঁয়াশা তৈরি করছে। প্রশ্ন উঠতে পারে তবে কি দীপা জিমন্যাস্টিক্স থেকে সন্ন্যাস নিয়েছেন? নীরবে নিভৃতে, কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে গিয়েছেন দীপা।
চলতি মাসের ৮ তারিখ থেকে রাজধানীর আইজি স্টেডিয়ামে জাতীয় শিবির শুরু হয়েছে। সেই শিবিরেও যাননি দীপা। বিশ্বেশ্বর নন্দীই জানিয়েছেন এই খবর। জাতীয় শিবিরে যোগ না দেওয়ার অর্থ হল দীপা এশিয়ান গেমস বা কমনওয়েলথ গেমসেও নামতে পারবেন না।
দীপার কাছ থেকে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। দীপা কর্মকারের বোন জানিয়েছেন, তাঁর দিদি বাড়িতে নেই। দীপার মা-বাবা রয়েছেন কলকাতায়। ত্রিপুরা জিমন্যাস্টিক্স সংস্থার সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ”দীপার সাসপেনশনের বিষয়ে আমাদের সংস্থাকে কিছুই জানানো হয়নি। আমরাও কিছু জানি না। সংস্থা এই ব্যাপারে খোঁজ নেবে।”গত সেপ্টেম্বরে জাতীয় শিবিরে গিয়েছিলেন দীপা। ছিলেন ত্রিপুরার আরও জিমন্যাস্ট। প্রথম ট্রায়ালে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পেয়েছিলেন দীপা। দ্বিতীয় ট্রায়ালে দীপা নামেননি। তাঁর এই সিদ্ধান্ত অবাক করে দেয় সবাইকে। কেন যে তিনি আর দ্বিতীয় ট্রায়ালে নামলেন না, তা জানা নেই কারওরই। সব মিলিয়ে দীপা কর্মকারকে নিয়ে তৈরি হয়েছে একাধিক প্রশ্ন। একমাত্র দীপা কর্মকারই পারেন সেই সব প্রশ্নের জবাব দিতে।