ওড়িশায় শঙ্খের দাপট, বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে ধস, পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাফ পদ্ম
গত রবিবারই অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় পুরভোট। এখন অধীর আগ্রহে তার ফলাফলের দিতে তাকিয়ে বাংলা। কলকাতা পুরসভা ও বিধাননগর-শিলিগুড়ি-আসানসোল এবং এবং জলপাইগুড়ি পুরনিগমের ট্রেন্ড বলে দিচ্ছে কোন দিকে যেতে চলেছে বাকি পুরসভাগুলির ফলাফল। ২০১৯-এ যে ক্যারিশ্মা দেখিয়েছিল বিজেপি বাংলায় তা অস্তিমিত বলা যায়। বিধানসভায় মুখ থুবড়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির। পরবর্তী পুরভোট ও উপনির্বাচনগুলিতেও বেহাল দশা। ১০৮টি পুরসভাতেও যে ভাল ফল হবে না তা ভালই বুঝে গেছে পদ্মশিবির। তবে কেবল বাংলা নয় প্রতিবেশী ওড়িশাতেও বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে ধস নেমেছে।
ওড়িশার পঞ্চায়েত ভোটের চিত্র
বাংলায় এখন যেমন আলোচনা চলছে পুরভোট নিয়ে ঠিক তেমনি ওড়িশাতেও সকলের নজর এখন পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলের দিকে। শনিবার থেকে শুরু হয়েছে গণনা। তিন দিন চলবে। সোমবার অর্থাৎ আজ শেষদিন। আর রাজ্যের এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখলো বিজু জনতা দল। কংগ্রেস, বিজেপিকে পেছনে ফেলে অনেক এগিয়ে নবীন পট্টনায়েকের বিজেডি।
ওড়িশার ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে শুধু জেলা পরিষদের ভোট হয় দলীয় প্রতীকে। সেখানে ৮৫১ আসনের মধ্যে ৭৩৪ টিতে এগিয়ে নবীন পট্টনায়েকের দল। আর বিজেপি জিতছে মাত্র ৪২টি আসনে। শনিবার গণনা হয়েছিলো ওড়িশার ৩১৫ জেলা পরিষদ আসনে। রবিবার গণনা হয় ৩০৭ আসনে। এদিন ২২৯টি জেলা পরিষদ আসনে গণনা হচ্ছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেডি জয়ী হয়েছিলো ৪৭৬ আসনে এবং ২০১২ সালে জয়ী হয়েছিলো ৬৫১ আসনে। এবার গত দুই নির্বাচনের ফলকেও ছাপিয়ে যেতে চলেছে বিজু জনতা দল।
নির্বাচনে ময়ূরভঞ্জ জেলার ৫৬ আসনের মধ্যে ৪৯ আসনে জয়ী হয়েছিলো বিজেপি। কালাহান্ডি জেলায় গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩৩ আসনে জয়ী হলেও এবার এই জেলায় বিজেপি মাত্র ৪ আসনে জয়ী হয়েছে। গতবার মাত্র ১ আসনে জয়ী বিজেডি এবার জয়ী হয়েছে ১০ আসনে। এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যখন মনে হচ্ছিল বিজেপিকে পেছনে ফেলে ওড়িশায় পঞ্চায়েত ভোটে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসবে কংগ্রেস। এখনও পর্যন্ত ওড়িশার পঞ্চায়েত ভোটে ৩৩টি আসন গিয়েছে কংগ্রেসের দখলে।