হাইকোর্টে ধাক্কা বিজেপির, কাঁথির পুরভোটের গণনায় হস্তক্ষেপ করবে না আদালত
কাঁথি পুরভোটের গণনায় কোনওরকম হস্তক্ষেপ করবে না কলকাতা হাইকোর্ট। তবে গণনার ফল আদালতের এই নির্দেশের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু এবং অবাধ হয়নি, এই অভিযোগ তুলে কাঁথির ভোট গণনা স্থগিত রাখার দাবি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। মঙ্গলবার ওই মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।
মামলায় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ভোটকেন্দ্রের সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরা এবং ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে কমিশনকে। তবে গণনা বাতিলের যে আবেদন করা হয়েছে, তাতে আদালত এখনই হস্তক্ষেপ করবে না।
বুধবার রয়েছে পুরভোটের ফল ঘোষণা। সেই ফল বেরনোর পর যদি মামলাকারীর আবেদন সঠিক বলে মনে হয় আদালতের, তখন আদালত ওই ভোটের ফল বাতিল করতে পারে বলে জানায় ডিভিশন বেঞ্চ। তবে সবটাই নির্ভর করবে তথ্য প্রমাণের উপর। একই সঙ্গে কাঁথির ভোটে অশান্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে রিপোর্ট চায় হাই কোর্ট।
উল্লেখ্য, এই জনস্বার্থ মামলা করেন বিজেপি নেতা তথা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌম্যেন্দু অধিকারী। তাঁর আইনজীবী পরমজিৎ পাটোয়ালি আদালতে জানান, সুষ্ঠু ও অবাধে কাঁথি পুরভোট হয়নি। তাই নতুন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর আবেদন জানান তিনি। তাঁর আরও দাবি, ওই পুরসভায় ৯৭টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। তার মধ্যে ৯১টি ভাঙা হয়েছে। অনেকগুলি ক্যামেরা কাজই করেনি ভোটের দিন।
ওই ক্যামেরাগুলি নিরপেক্ষ সংস্থা দিয়ে অডিট করানোর দাবি উঠেছে। বুথ দখল, ছাপ্পার অভিযোগ উঠেছে। এই অবস্থায় গণনা বন্ধ রাখার আর্জি জানান তিনি।
অন্য দিকে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র জানান, তাঁদের আরও সময় দরকার। যে অভিযোগগুলি উঠেছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা আইএএস অফিসারদের পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেছিলাম। অনুসন্ধান করে তাঁদের কাছ থেকে রিপোর্ট নিয়ে তবেই এ নিয়ে কথা বলা সম্ভব হবে।’’
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ও সময় চান আদালতের কাছে। এই মামলায় জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে যুক্ত করা হয়েছে। সিসিটিভি অডিটের ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা থাকবে। মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ১১ মার্চ।