জলবায়ু পরিবর্তনে ভারতে আগামীতে বাড়বে খরা ও বন্যা, আইপিসিসি রিপোর্টে সতর্কবার্তা
আগামী দু’দশকে জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়ঙ্কর রূপ দেখবে বিশ্ব। তাণ্ডবলীলা চালাবে একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়। তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বেঁধে রাখার লক্ষ্যপূরণে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নিলেও এই বিপর্যয় এড়ানো যাবে না। আর উঞ্চতা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি অতিক্রম করলে ফল হবে আরও ভয়ঙ্কর। অভাবনীয় ক্ষয়িক্ষতির মুখে পড়তে হবে বিশ্বকে। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের আন্তর্জাতিক সংস্থা আইপিসিসি-র সাম্প্রতিক রিপোর্টে এভাবেই সতর্ক করা হল গোটা বিশ্বকে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় বিশেষ করে ভারত-পাকিস্তানে বন্যা বা খরা পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। এর ফলে খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে চালের উৎপাদন ১০ থেকে ৩০ শতাংশ, মেইজি ২৫ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে।
পরিবেশ বিজ্ঞান নিয়ে নিয়মিত তাদের রিভিউ রিপোর্ট প্রকাশ করে আইপিসিসি। তাদের ষষ্ঠ অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্টের প্রথম অংশ প্রকাশিত হয়েছিল গত আগস্টে। সোমবার প্রকাশ করা হল দ্বিতীয় অংশ। সেখানে বলা হয়েছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বেঁধে রাখা না গেলে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে আমাদের এই গ্রহের। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শক্তি অনেক বেশি হবে। ধাক্কা আসবে ঘনঘন। পরিকাঠামোয় বড় ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। সমুদ্র লাগোয়া বহু নিচু এলাকা জলের নীচে চলে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে। রিপোর্টের অন্যতম প্রস্তুতকারক অঞ্জল প্রকাশ বলেছেন, ভারতের উপকূলবর্তী এলাকা যেমন কলকাতা, মুম্বই, চেন্নাই, গোয়া, পুরী ও বিশাখাপত্তনমের বিপদ বাড়বে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রের জলস্তর যেমন বাড়বে, তেমনি সাইক্লোন ঘন ঘন দেখা যাবে। এমনকী ভূগর্ভের জলেও সমুদ্রের নোনা জল মিশতে পারে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাপমাত্র বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রিতে বেঁধে রাখা গেলেও স্বস্তিতে থাকার কারণ নেই। ইতিমধ্যেই পরিবেশের যে ক্ষতি হয়েছে, তাতে আগামী দু’দশকে গোটা বিশ্বকে অনিবার্যভাবে পড়তে হবে বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে।