এই ধরনের ঘটনা না ঘটলেই ভাল হত, পুর-হিংসা নিয়ে আত্ম-সমালোচনা সৌগতর মুখে
বিজেপি (BJP) রাজনৈতিভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। এমনটাই মন্তব্য সৌগত রায়ের (Sougata Roy)। গেরুয়া শিবিরের ডাকা এদিনের বনধে কলকাতায় কোনও প্রভাব পড়েনি বলেও দাবি করেছেন তিনি। পাশাপাশি বিজেপির ডাকা বনধ নিয়ে সিপিএমের (CPIM) মন্তব্যে যে তিনি খুশি, তা গোপন করেননি দমদমের তৃণমূল (Trinamool Congress) সাংসদ।
ভোটের পরেই ক্ষমা প্রার্থনা সৌগতের
রবিবার রাজ্যের ১০৮ টি পুরসভা নির্বাচনে সকাল থেকে জলপাইগুড়ি থেকে জয়নগর সর্বত্রই শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট প্রক্রিয়ায় বহিরাদতদের সামিল করে ভুয়ো ভোট দেওয়া থেকে শুরু করে ভয় দেখানো এবং মারধরের একের পর এক ছবি ক্যামেরা বন্দি হয়েছে। রবিবার বিকেলে সৌগত রায় বলেছিলেন, তাঁর সংসদীয় এলাকায় ৮ টি পুরসভার ভোটে সেরকম গণ্ডগোল হয়নি। তবে কামারহাটির ২৯ নম্বর ওয়ার্ড এবং উত্তর দমদম পুরসভা এলাকায় সাংবাদিকদের ওপরে হামলার ঘটনা নিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেছিলেন, এই ধরনের ঘটনা না ঘটলেই ভাল হত।
সিপিএমকে পাশে টানলেন সৌগত
এদিন সাংবাদ মাধ্যমের তরফে সৌগত রায়ের কাছে বনধ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি দাবি করেন, কলকাতায় বনধের কোনও প্রভাব পড়েনি। এই ধরনের বনধকে অর্থহীন বলে দাবি করে দমদমের তৃণমূল সাংসদ আরও বলেন, রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে বিজেপি। পাশাপাশি তিনি বিজেপির ডাকা বনধে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্যে যে খুশি তা গোপন করেননি। তিনি বলছেন, সিপিএম-ের এক নেতা বিজেপি সম্পর্কে যা বলেছেন, তাই সঠিক।
বিজেপি কোথায় ছিল সারা দিন
১০৮ টি পুরসভার ভোটে সারাদিন সন্ত্রাসের অভিযোগ করে বিজেপি রবিবার বিকেলে জানায় সোমবার সকাল ছটা থেকে বারো ঘন্টার বনধের ডাক দেওয়া হচ্ছে। এব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে, সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছিলেন, বিজেপি বাংলা বনধ ডাকবে আর তারা সমর্থন করবেন, এটা ভাবা ঠিক নয়। তারা সবসময়ই আন্দোলনের সঙ্গে থাকেন বলে দাবি করে সুজন চক্রবর্তী প্রশ্ন করেছিলেন সারাদিন বিজেপি কোথায় ছিল। তিনি দাবি করেছিলেন, রবিবার সারাদিন ধরে প্রতিবাদ জানাতে সিপিএমকেই রাস্তায় নামতে দেখা গিয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট লুটের অভিযোগ করে সুজন চক্রবর্তী বলেছিলেন যা হল তা খুব খারাপ, এর নিন্দার কোনও ভাষা নেই।