যুদ্ধ আবহে মাথাচাড়া দেওয়া বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়ছেন নেটিজেনরা
একই সঙ্গে চলছে দুটি যুদ্ধ। রাশিয়া আর ইউক্রেনের আক্রমণ-প্রতিআক্রমণের লড়াই চলছে। একদিকে, রণ দামামা বাজিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র আর বিমানের লড়াই আর অন্যদিকে, বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াই। এই বিষাক্ত মনোভাবের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লড়াই চালাচ্ছেন নেটিজেনরা।
ইউরোপ-আমেরিকার সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদনের মাধ্যমে হামলা ও ধ্বংসের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে বর্ণবিদ্বেষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের জেরেই দুই প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমের দুই সাংবাদিককে ক্ষমা চেয়ে বলতে হয়েছে, “আমাদের সচেতন হওয়া উচিত ছিল।” নেটিজেনদের লড়াই জারি রয়েছে।
বিবিসি-র সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের ডেপুটি প্রসিকিউটার ডেভিড সাকারেলিৎজ বলেন, “বিশেষ করে নীল চোখ, সোনালী চুলের ইউরোপীয়দের এভাবে মরতে দেখে আমি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছি।” বিবিসির-র সাংবাদিক তাকে বলেছেন, “ঠিকই বলেছেন। আপনার মনের অবস্থা আমি ভালই বুঝেছি।”
অ্যালান ম্যাকলিওড নামে এক নেটিজেন বিবিসি-র এই প্রতিবেদনের ক্লিপিং টুইট করে লিখেছেন, “সবচেয়ে নগ্ন বর্ণবৈষম্যবাদী টেলিভিশন কভারেজ।” আরকে জন প্রশ্ন তুলেছেন, “মৃতদের চোখ নীল, গায়ের চামড়া সাদা না হলে এদের আবেগ আসে না?”। আরও এক নেটিজেনের মন্তব্য, তুলনা না করে কি এরা একটা কথাও বলতে পারে না? অন্য একজন লেখেন, ” ইউরোপ কি সত্যিই শান্তির স্বর্গ, যে হাল আমলে সেখানে যুদ্ধ হয়নি? তুরস্কের একটা অংশ বা সার্বিয়া কি ইউরোপ নয়?”
একদিকে চলেছে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ আর অন্যদিকে বর্ণবিদ্বেষ কিন্তু নেটিজেনরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর মধ্যেই বেঁধে থাকার বার্তা দিচ্ছেন।