বইমেলায় নেই কোভিডবিধি মানার বালাই, মাস্কহীন অধিকাংশ বইপ্রেমী
মাস্ক ছাড়া বইমেলায় প্রবেশে রাশ টানতে পদক্ষেপ নিতে চলেছে কর্তৃপক্ষ। উদ্বোধনের দিন মাস্কহীন মুখের সারি দেখা গিয়েছিল মেলা প্রাঙ্গণজুড়ে। সেই ছবি প্রকাশ্যে আসার পর মঙ্গলবার থেকে লাগাতার প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বুক সেলার্স অ্যান্ড পাবলিশার্স গিল্ড। পাশাপাশি বিধাননগর কমিশনারেট জানিয়েছে, মেলা প্রাঙ্গণে কোভিড বিধি ভাঙলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। যদিও এদিনও বহু মানুষকে মাস্ক ছাড়াই ঘুরতে দেখা গিয়েছে।
এদিন গিল্ডের পক্ষ থেকে সুধাংশুশেখর দে জানান, বইমেলা প্রাঙ্গণে লাগাতার সচেতনতামূলক প্রচার শুরু করা হবে। কাউকে মাস্কহীন অবস্থায় ঘুরতে দেখলে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের সাবধান করবেন। এই প্রবণতা আটকাতে কথা বলা হবে পুলিসের সঙ্গেও। বিধাননগরের ডেপুটি পুলিস কমিশনার পদমর্যাদার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কড়া পদক্ষেপের কথা ভাবা হচ্ছে। মাস্ক ছাড়া মেলায় ঘুরতে দেওয়া যাবে না। বিধাননগর কমিশনারেটের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদে থাকা এক আধিকারিক জানান, মেলায় কর্মরত সব কর্মীকে মাস্ক পরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাধারণ মানুষ তো কোন ছাড়, সোমবার বইমেলায় পুলিসের অনেক কর্মীকে দেখা গিয়েছিল মাস্কহীন অবস্থায় ঘুরে বেড়াতে। মেলার দ্বিতীয় দিনেও বেপরোয়া অনেকে মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেরিয়েছেন। তবে মঙ্গলবারের ছবি সোমবারের তুলনায় ছিল অনেকটাই স্বস্তিদায়ক। এদিন অধিকাংশ মানুষকে মাস্কে মুখ ঢেকে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। বহু স্টলে মাস্ক ছাড়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। ‘দ্য কাফে টেবিল’ প্রকাশনা সংস্থার কর্ণধার জানিয়েছেন, মাস্ক পরে স্টলে ঢুকতে প্রত্যেককে অনুরোধ জানাচ্ছি। মেলা প্রাঙ্গণে অনেকে মাস্ক ছাড়া ঘুরলেও বইয়ের স্টলে ঢোকার আগে তা মুখে বাঁধতে বাধ্য হয়েছেন। সব মিলিয়ে প্রথম দিনে যে প্রবল অসচেতনতার ছবি দেখা গিয়েছিল, তা দ্বিতীয় দিনে অনেকটাই অন্তর্হিত। গিল্ড অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন চট্টোপাধ্যায় দম্পতি। তাঁদের বক্তব্য, মাস্ক পরেই মেলায় ঢুকেছি। করোনার বিপদ পুরোপুরি কাটেনি। এটা সবাই মনে রাখলে সমাজের মঙ্গল। গিল্ড ও পুলিস একসঙ্গে তৎপর হলে বেপরোয়া মনোভাবে রাশ টানা যাবে বলে মনে করছে সবাই।