ইউক্রেনে থাকাকালীন মেলেনি ভারতীয় দূতাবাসের সাহায্য, জানাচ্ছেন দেশে ফেরত পড়ুয়ারা
দেশে ফিরছেন পড়ুয়ারা, এখনও আটকে অনেকেই। দেশে ফিরেই আতঙ্কের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিচ্ছেন পড়ুয়ারা। এক পড়ুয়ার কথাতেই জানা গিয়েছে, ইউক্রেন পুলিশ তাঁদের সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করত। আটকে থাকার সময় ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস তরফে কোনও সাহায্য পাননি পড়ুয়ারা। বিভীষিকাময় আতঙ্কের এমনই সব অভিযোগ করেছেন দেশে ফেরা কালনার ডাক্তারি পড়ুয়া নুর হাসানের। ইউক্রেনের ভিনিতসিয়া ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র নুর। এক টানা তিন দিন বাঙ্কারে লুকিয়ে থাকার পরে অনেক কষ্টে শুক্রবার বাড়ি ফিরেছেন নূর। দেশে ফেরা সকলের অভিজ্ঞতা প্রায় একই রকম। বাড়িতে ফিরেও আতঙ্ক কাটছে না ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের, তাদের চোখেমুখে ভয়ের চিহ্ন স্পষ্ট। পড়ুয়াদের প্রায় সকলেই বলছেন, আটকে থাকা অবস্থায় এক এক সময় তারা এও ভেবেছিলেন যে তারা হয়ত আর বাড়িতে ফিরতে পারবেন না।
বাঙ্কারের মধ্যে জল ও খাবারের অপ্রতুলতার মধ্যে দিনে কাটাচ্ছেন আটকে পড়া পড়ুয়ারা। পরে সেখান থেকে বাসে করে বা অধিকাংশ ক্ষেত্রে পায়ে হেঁটে রোমানিয়া বা অন্য কোন দেশের সীমান্তে আসেন পড়ুয়ারা। যাত্রাপথে থাকে বোমারু বিমানের ভয়। এমনও দেখা যাচ্ছে বসে করে এলে সীমান্ত থেকে অনেকটা আগেই পড়ুয়াদের নামিয়ে দিচ্ছে বাস। এমনটাই হয়েছিল নূরদের সঙ্গে প্রায় ১১ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে পার হয়েছিলেন তারা। তারপর আবার প্রায় ১২ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।
ডাক্তারি পড়ুয়াদের অভিযোগ, ইউক্রেনে আটকে থাকাকালীন ভারতীয় দূতাবাসের তরফে কোনও সাহায্য তারা পাননি। রোমানিয়া সীমান্ত পার হওয়ার পর তাদের সঙ্গে ভারতীয় দূতাবসের তরফে যোগাযোগ করা হয়। ইউক্রেনে থাকাকালীন পুলিশ তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে বলে অভিযোগ করছেন পড়ুয়ারা। মোদী সরকারের বিদেশনীতির জন্যই এমনটা হচ্ছে বলে মত অনেকের। দেশে ফেরা পড়ুয়ারা জানাচ্ছেন ইউক্রেনের পুলিশ গুলি চালিয়ে ভয় দেখাত তাদের। দেশে ফিরতে সক্ষম পড়ুয়ারা সরকারের কাছে আবেদন করছেন, যারা এখনও আটকে রয়েছেন, তাদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক।