রাশিয়ার বিরুদ্ধে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত শুরু করতে চলেছে মানবাধিকার পরিষদ
আবারও রাষ্ট্রসংঘে ভোটদানে বিরত থাকল ভারত। ইউক্রেন (Ukraine) যুদ্ধে মানবধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদে মস্কোর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে একটি প্রস্তাব পেশ করা হয়। ভোটাভুটিতে প্রস্তাবের পক্ষে ৩২টি ভোট পড়ে। ফলে এবার মস্কোর বিরুদ্ধে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত শুরু করতে চলেছে নিরাপত্তা পরিষদ।
ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ার দিকে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। রাজধানী কিয়েভ, খারকভ-সহ বেশ কয়েকটি শহরে আছড়ে পড়ছে একেরপর রুশ এক মিসাইল, গোলা। অভিযোগ, ইউক্রেনে নিষিদ্ধ ক্লাস্টার বোমা ও ভ্যাকুয়াম বোমা ব্যবহার করেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। এহেন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত প্রক্রিয়া শুরুর সিদ্ধান্ত নিল রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদ। লক্ষণীয়ভাবে, এবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদানে বিরত থাকে ভারত ও চিন। একই পথে হেঁটেছে পাকিস্তানও।
জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক স্তরের স্বাধীন ভাবে গঠিত একটি কমিশনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে তদন্তের কাজ দিতে পারে মানবাধিকার পরিষদ। যদিও এখনও পর্যন্ত সেই কমিশন গঠন করা হয়নি। ৪৭ সদস্যের মানবাধিকার পরিষদে অন্তত ৩২টি সদস্য দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের পক্ষে ভোট দিয়েছে। বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে রাশিয়া এবং ইরিট্রিয়া। ভোটদানে বিরত থেকেছে ভারত এবং চিন-সহ ১৩টি দেশ। ভোটাভুটির পর ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রসংঘে জানান, যাঁরা পক্ষে ভোট দিয়েছেন তাঁদের ধন্যবাদ।
উল্লেখ্য, এর আগে রাষ্ট্রসংঘে দুবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবে ভোট দেয়নি ভারত। গত সপ্তাহে ইউক্রেনের উপরে রাশিয়া ঝাঁপিয়ে পড়ার পর থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল ভারত শেষ পর্যন্ত কার দিকে থাকবে? রাশিয়া নাকি আমেরিকা? কিন্তু কৌশলগত ভাবে কার্যত ভারসাম্যই রক্ষা করে ভোট দেয়নি ভারত। এইভাবে পরোক্ষে ‘বন্ধু’র কাঁধেই হাত রাখার বার্তা দিল ভারত।