যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ঘরে ফিরলেন ইসলামপুরের পাভেল
দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে অবশেষে সমস্ত উদ্বিগ্নের অবসান ঘটিয়ে দেশ ফিরল দেশের ছেলেরা। অবশেষে ভারত সরকারের উদ্যোগে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে অক্ষত অবস্থায় ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে ইউক্রেনে পাঠ রত ডাক্তারি পড়ুয়াদের। এদিন উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর রামকৃষ্ণপল্লীর বাসিন্দা পাভেল দাস সহ তিন পড়ুয়া ঘরে ফিরেছেন। দেশের মাটিতে পা রাখলেও এখনও যুদ্ধের স্মৃতি তাড়া করে বেড়াচ্ছে পাভেলকে। এদিন বাড়িতে ফিরতেই মাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় তাকে। দীর্ঘদিনের উদ্বেগ আর আশঙ্কা শেষে অবশেষে ছেলেকে কাছে পেয়ে ধরে রাখতে পারেনি মা-ও। ছেলে অক্ষত অবস্থায় কাছে পেয়ে কেঁদে ফেলেন তিনিও।
উল্লেখ্য, উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর রামকৃষ্ণপল্লীর যুবক পাভেল দাস ডাক্তারি পড়তে গিয়ে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে পড়েছিলেন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনতে ভারত সরকারে করুন আবেদন করেছিলেন। প্রতিটি ভারতীয়কে অক্ষত অবস্থায় দেশে ফিরিয়ে আনতে কয়েকদিন আগেই বড় পদক্ষেপ গ্রহন করে সরকার। চালু হয় মিশন গঙ্গা। এই মিশনের হাত ধরেই ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয় ফিরিয়ে আনা হয় দেশে। এই মিশনের হাত ধরেই এদিন উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর রামকৃষ্ণপল্লীর ডাক্তারি পড়ুয়া পাভেল দাসকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। পাভেল অক্ষত অবস্থায় দেশে ফিরে আসায় ভারত সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে দেখা যায় তার মা অনুপমা দাসকে। ছেলে ফিরে আসায় তার কোল যেমন আলোকিত হয়েছে একইভাবে সমস্ত ভারতবাসী দেশে ফিরে আসতে পারেন তার উদ্যোগ নেবার জন্য ভারত সরকারের কাছে আবেদন করেছেন তিনি। খুশির জোয়ার দেখতে পাওয়া গিয়েছে পাভেলের গোটা পরিবারেও। খুশি আত্মীয়স্বজনেরাও।
একইভাবে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসায় খুশি পাভেলের কাকা রথীন দাস। পাভেল সহ উত্তর দিনাজপুর জেলার তিন ডাক্তারি পড়ুয়া শিলিগুড়ি বাগডোগরা হয়ে ভারতে ফিরেছে। উত্তর দিনাজপুর জেলা শাসক অরবিন্দ মীনার কাছে প্রথম এই সংবাদ আসে। তারপরই তিনি বিশেষ মর্যদা দিয়ে বাগডোগরা থেকে তিন ছাত্রের বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য নির্দেশ দেন প্রশাসনের অন্য কর্তাদের। বিশেষ নির্দেশ আসে ইসলামপুরের মহকুমা শাসক সপ্তর্ষি নাগের কাছে। জেলা শাসকের সেই নির্দেশে বাগডোগরা বিমানবন্দরে তাদের অভিনন্দন জানিয়ে সরকারি গাড়িতেই তাদের আনা হয় বাড়িতে। এদিকে পাড়া ছেলে ফের পাড়ায় ফেরায় খুশি প্রতিবেশীরাও।