চন্ডিগড়কে ১৫২ রানে হারিয়ে রঞ্জি ট্রফির নকআউট পর্বে পৌঁছল বাংলা
অপ্রতিরোধ্য বাংলা। চলতি রনজি ট্রফিতে দুরন্ত ছন্দে ধরা দিচ্ছেন অভিমন্যু ঈশ্বরণরা। আর এবার চণ্ডীগড়কে হারিয়ে একেবারে নকআউট পর্বে পৌঁছে গেল বাংলা। ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে ১৫২ রানে জিতল দল।
প্রথম ইনিংসে চণ্ডীগড়ের বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ছিনিমিনি খেলেন বাংলার (Bengal Ranji Team) ব্যাটাররা। চোখ ধাঁধানো ১১৪ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অভিমন্যু। একটুর জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন অনুষ্টুপ মজুমদার ও সায়ন মণ্ডল। আর তাতেই প্রতিপক্ষের সামনে রানের পাহাড় তৈরি হয়ে যায়। জবাবে ২০৬ রানেই গুটিয়ে যায় চণ্ডীগড়ের প্রথম ইনিংস। অঙ্কিত কৌশিক ছাড়া কেউই ক্রিজে টিকতে পারেননি। নীলকান্ত দাস একাই তুলে নেন তিনটি উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য ভাল বল করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে চণ্ডীগড়। টপ অর্ডারে ধস নামান নির্মোহী। তবে অভিজ্ঞ অনুষ্টুপের ব্যাটে ফের বাংলার চাকা ঘোরে। আট উইকেটে ১৮১ রান করে ইনিংস ডিক্লেয়ার ঘোষণা করে বাংলা। কিন্তু ৪১৩ রানের বোঝা মাথায় নিয়ে আর লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেননি মোহন বোহরারা। ২৬০ রানে চণ্ডীগড়কে রুখে দিয়ে নকআউটে পৌঁছে গেলেন অভিমন্যুরা। ঈশান পোড়েল পান তিনটি উইকেট।
স্বাভাবিক ভাবেই এমন জয়ে উচ্ছ্বসিত বাংলার কোচ অরুণ লাল (Arun Lal)। বললেন, ‘‘দুর্দান্ত এই জয়। তবে এই ম্যাচ না জিতলেও আমরা নকআউটে পৌঁছতে পারতাম। কিন্তু ছেলেরা যে লড়াই করে জিতেছে, এটাই আনন্দের।’’
চলতি রনজিতে (Ranji Trophy) এলিট গ্রুপ বি-তে ছিল বাংলা। প্রথমে বরোদার বিরুদ্ধে জেতে বাংলা। এরপর হায়দরাবাদকে হারান অভিমন্যুরা। ৬ পয়েন্ট পেয়ে নকআউট কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল তখনই। আর শেষ ম্যাচ জিতে গ্রুপ শীর্ষে থেকে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে নকআউটে পৌঁছে গেল বাংলা। আইপিএলের পর ফের নকআউটের লড়াইয়ে নামবে দলগুলি।