লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে নতুন আবেদন ছাড়াল ১৫ লক্ষের গণ্ডি
মহিলাদের হাতে নগদ জোগান নিশ্চিত করতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেছিল রাজ্য। ২০২১-এর পুজোর আগে থেকেই সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হচ্ছে। প্রায় ছ’মাস কেটে গেলেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে মানুষের মধ্যে উন্মাদনা প্রবল। যা আরও একবার প্রমাণ করল এবারের দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। সমস্ত প্রকল্পকে ছাপিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পেতে সবথেকে বেশি আবেদন জমা পড়েছে এবারের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পেও। এই প্রকল্পের জন্য শনিবার পর্যন্ত আবেদন জমা পড়েছে ১৫ লক্ষ ৩৪ হাজার ১৬১টি। দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে আবেদন নেওয়া চলবে ৭ মার্চ পর্যন্ত। আর শেষ দু’দিনে আবেদনের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন রাজ্যের আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর থেকেই ১ কোটি ৫৩ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রতিমাসের একেবারে শুরুতেই টাকা পাঠায় রাজ্য। এদের মধ্যে প্রায় ১৫ লক্ষ উপভোক্তা তফসিলি জাতি ও উপজাতির। যাঁরা প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে পান। আর অন্য মহিলারা পান ৫০০ টাকা হিসেবে। এঁরা সকলেই এই প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার আবেদন জানান ২০২১-এর আগস্ট-সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের মাধ্যমে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য শুধুমাত্র দুয়ারে সরকার ক্যাম্পেই আবেদন করা যায়। বিধানসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকগুলি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এই প্রকল্পটি সেগুলিরই একটি।
এবারে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের মাধ্যমে আবেদন জমা নেওয়া শুরু হয়েছে ১৫ এপ্রিল থেকে। আবেদন জমা পড়েছে আরও ১৫ লক্ষের বেশি। শীঘ্রই সেগুলি যাচাই করে পরের মাস থেকেই তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানোর পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য।
যেখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য নতুন আবেদন ছাড়িয়েছে ১৫ লক্ষ, সেখানে স্বাস্থ্যসাথীর জন্য আবেদন জমা পড়েছে ৯ লক্ষ ৩১ হাজার। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পরেই সবথেকে বেশি আবেদন জমা পড়েছে স্বাস্থ্যসাথীতে। সারা রাজ্যে শনিবার পর্যন্ত মোট ৪৮ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে। খাদ্যসাথী ও কৃষকবন্ধুর জন্য আবেদন করেছে ৫ লক্ষ ১২ হাজার ও ৪ লক্ষ ১৫ হাজার করে। বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা প্রকল্পের জন্য আবেদন জমা পড়েছে ৪ লক্ষ ৫ হাজার। আধার ও জাতিগত শংসাপত্রের জন্য আবেদন করেছেন যথাক্রমে ৩ লক্ষ ৫৪ হাজার জন ও ২ লক্ষ ৬০ হাজার জন।
কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যের নেওয়া সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলি মানুষের হাতে নগদ জোগান নিশ্চিত করেছে।