দেশ বিভাগে ফিরে যান

পিএম কিষান প্রকল্পে দূর্নীতি: শীর্ষে ডবল ইঞ্জিন যোগী রাজ্য

March 7, 2022 | 2 min read

হাজার নথি পরীক্ষার পরেও বেহাত অর্থ। যোগ্য না হলেও ‘কৃষক’ পরিচয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে আম জনতার টাকা। সবচেয়ে বেশি নয়ছয় হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। বছরে ছয় হাজার টাকা পাওয়ার ‘প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি’ (পিএম-কিষান) প্রকল্পে বেহাত হয়েছে অর্থ। রাজ্যের ২ লক্ষ ৮৬ হাজার বাসিন্দা কৃষক না হলেও সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে কেন্দ্রের টাকা। কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ মন্ত্রকের তথ্যেই উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

এর দায় কার? মন্ত্রকের জবাব, রাজ্যের। পিএম-কিষান প্রকল্পটি সম্পূর্ণ কেন্দ্রের হলেও কারা কৃষিজমির মালিক, তা চিহ্নিত করার দায়িত্ব রাজ্যের। আবেদনকারী প্রকৃতভাবে বছরে তিন দফায় দু’ হাজার টাকা করে পাওয়ার যোগ্য কিনা, সবুজ সঙ্কেত দেয় রাজ্যই। এক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারই দায়ী। তাদের ভুলেই অযোগ্য ব্যক্তির ব্যাঙ্কে চলে গিয়েছে পিএম-কিষান প্রকল্পের টাকা। গোটা দেশে এই সংখ্যাটি ৪৮ লক্ষেরও বেশি। অপাত্রে গিয়েছে কত অর্থ? মন্ত্রকের হিসেব মতো যা ২ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।
বিতর্ক শুরু হতেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টাকা পাওয়া ব্যক্তি প্রকৃতই কৃষি জমির মালিক কি না, তা খতিয়ে দেখতে কড়া হচ্ছে কেন্দ্র। এবার থেকে রাজ্য সরকার ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে দেওয়ার পরেও কেন্দ্রের টিম তা খতিয়ে দেখবে। হবে ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন। সঙ্গে সফটওয়ারের মাধ্যমেও যাচাই করা হবে প্রকৃত তথ্য। দেখা হবে পিএম-কিষাণের টাকা নেওয়া কৃষি জমির মালিকের নাম আয়কর দাতাদের তালিকায় আছে কি না। জোর দেওয়া হচ্ছে অর্থ উদ্ধারের।

বিতর্ক শুরু হতেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টাকা পাওয়া ব্যক্তি প্রকৃতই কৃষি জমির মালিক কি না, তা খতিয়ে দেখতে কড়া হচ্ছে কেন্দ্র। এবার থেকে রাজ্য সরকার ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে দেওয়ার পরেও কেন্দ্রের টিম তা খতিয়ে দেখবে। হবে ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন। সঙ্গে সফটওয়ারের মাধ্যমেও যাচাই করা হবে প্রকৃত তথ্য। দেখা হবে পিএম-কিষাণের টাকা নেওয়া কৃষি জমির মালিকের নাম আয়কর দাতাদের তালিকায় আছে কি না। জোর দেওয়া হচ্ছে অর্থ উদ্ধারের।

যাঁরা আয়কর দেন, মাসে ১০ হাজার বা তার বেশি পেনশন পান তাঁদের নামে কৃষি জমি থাকলেও পাবেন না পিএম-কিষানের অর্থ। বর্তমান অথবা প্রাক্তন এমপি, বিধায়ক, পুরসভার মেয়র, চেয়ারপার্সন, সরকারি চাকুরে, লিজে নেওয়া কৃষি জমির কৃষকরা এই প্রকল্পের আওতার বাইরে। পিএম-কিষাণের টাকা পেতে গেলে নথি হিসেবে প্রয়োজন আধার বা ভোটার কার্ড, মোবাইল এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নাম্বার। কৃষি জমি রয়েছে, এমন পরিবারকেই দেওয়া হয় বছরে ছ’ হাজার টাকা। জমির পরিমাণ যাই হোক না কেন। গোটা দেশে সাড়ে ১২ কোটির বেশি কৃষক পরিবার কেন্দ্রের এই অর্থ পেতে আবেদন করেছেন। তার মধ্যে দেওয়া হচ্ছে ১০ কোটি ২২ লক্ষের কিছু বেশি কৃষককে। আর এই তালিকাতেই আয়কর জমা করেন, উত্তরপ্রদেশে এমন ব্যক্তিও পেয়ে গিয়েছেন পিএম-কিষানের অর্থ। পিছিয়ে নেই গুজরাত, কর্ণাটকের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যও। কর্ণাটকে দু’ লক্ষ এবং গুজরাতে সাত হাজার লোকের কাছে চলে গিয়েছে অর্থ।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Uttar Pradesh, #yogi adityanath, #Pm kisan scam

আরো দেখুন