ইমরান সরকার উৎখাতে অনাস্থা প্রস্তাব আনছে বিরোধীরা, তোলপাড় পাক রাজনীতি
পাকিস্তানের রাজনীতি তোলপাড় করে এবার ইমরান খানের বিরুদ্ধে এল অনাস্থা প্রস্তাব। পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি সেক্রেটারিয়েটে এই প্রস্তাব আনা হয়েছে। যে সময় এই প্রস্তাব আনা হয়, সেই সময় নিজের অফিসে ছিলেন না স্পিকার। উল্লেখ্য,পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী, ৬৮ জন ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি সদস্য এই পিটিশনে স্বাক্ষর করলেই স্পিকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। আর ইমরানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ৮৬ জন।
উল্লেখ্য, ৮৬ জন পাকিস্তানি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি সেক্রেটারিয়েট ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের ডাক দিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, এক্ষেত্রে ৬৮ জন সদস্যের স্বাক্ষর থাকলেই ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে ভোটের ঘোষণা করতে হয় স্পিকারকে। এই পরিস্থিতিতো পাক সংসদের সমস্ত সদস্যকে আগামী তিন সপ্তাহ ইসলামাবাদে থাকার কথা জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ইমরান বিরোধী প্রতিনিধি দলের রানা সানাউল্লাহ, শাজিয়া মারি, মারিয়াম অউরাঙ্গজেবের মতো নেতা নেত্রীরা এদিন পাক সংসদ ভবনে গিয়ে প্রস্তাব পেশ করেন ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থার।
উল্লেখ্য, পাক আইন অনুযায়ী, যদি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে হয়, তাহলে ১৭২ জন এমএনএর সমর্থন প্রয়োজন প্রস্তাবের পক্ষে। সেই জায়গা থেকে বিরোধীদের কাছে অন্তত ১০০ জনের সায় রয়েছে। তবে বাকি ৭২ জন সদস্যের নাম সেভাবে সামনে আসেনি। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সেনার পদক্ষেপ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। উল্লেখ্য, বহুবারই দেখা গিয়েছে পাক রাজনীতিতে পাকিস্তানের সেনার ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সেই জায়গা থেকে, ইমরানের বিরুদ্ধে পাক সংসদে যখন অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়, তখন দেখা যায়, পাকিস্তানের সেনা কোনও পক্ষেই সায় দিচ্ছে না। এমনকি ময়দানে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকেও দেখা যাচ্ছে না। যা ইসলামাবাদের রাজনীতিতে বেশ প্রাসঙ্গিক ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।