কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

তৃণমূলের বৈঠকে মমতার পাশেই অভিষেক-পিকে, ‘দূরত্ব’ কি তবে মিটল?

March 8, 2022 | 2 min read

তাহলে কি ‘দূরত্ব’ ঘুচে গেল? মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যস্তরের বৈঠকে একই মঞ্চে থাকলেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোর। কিছুটা দূরত্ব রেখে পাশাপাশি বসতে থাকতে দেখা গিয়েছে। যে বৈঠকে একাধিক সাংগঠনিক রদবদল করা হল।

বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর ছ’মাস কাটতে না কাটতেই আইপ্যাকের সঙ্গে ‘দূরত্ব’ তৈরি হয়েছিল মমতার। পুর নির্বাচনের প্রার্থীতালিকা বিভ্রাটের মধ্যেই আইপ্যাকের সঙ্গে তৃণমূলের বিচ্ছেদের জল্পনাও তুঙ্গে উঠেছিল। মূলত ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নিয়ে ‘দ্বন্দ্ব’ তৈরি হয়েছিল। এমনিতে সেই নীতির পক্ষে সওয়াল করে আসছিলেন অভিষেক এবং প্রশান্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই নীতির হয়ে সওয়াল করতে থাকেন অভিষেক ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত একাধিক যুব নেতা। যা নিয়ে ফিরহাদ হাকিমের মতো বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতারা বিড়ম্বনায় পড়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল ‘অভিষেকপন্থী’ ও ‘মমতাপন্থী’-দের মধ্যে।

একধাপ এগিয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দাবি করেছিলেন, তাঁর নামে ফেসবুক পেজ খুলেছিল আইপ্যাক। তাঁকে না জানিয়েই সেই পেজ থেকে ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’-এর সমর্থনে ব্যানার পোস্ট করা হয়। পালটা আইপ্যাকের তরফে সেই অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। দাবি করা হয়েছিল, তৃণমূলের কোনও অ্যাকাউন্টের দেখাশোনা করা হয় না। যাঁরা সেই দাবি করছেন, তাঁরা কিছু জানেন না বা মিথ্যা বলছেন। সেই পরিস্থিতিতে কার্যত ‘তলানিতে’ পৌঁছেছিল মমতা এবং পিকের সম্পর্ক।

যদিও ২৩ ফেব্রুয়ারি একটি সাক্ষাৎকারে পিকে বলেছিলেন, ‘ওই সব খবর দেখে আমি শুধু হেসেছি। আমার সঙ্গে দিদির সম্পর্ক যেমন ছিল, তেমনই আছে। কিন্তু সংবাদমাধ্যমকে তো কিছু করতে হবে। তাই হয়ত এই সব করছে। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে বলা হল, দিদি এবং আমার মধ্যে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আবার বলা হল, দিদি আর অভিষেকের মধ্যে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তার পর বলা হল, অভিষেক ও আমার সঙ্গেই দিদির দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। তিনি দলের সর্বোচ্চ নেত্রী হিসাবে দলের সংগঠনকে নতুন করে সাজাচ্ছেন। আর সংবাদমাধ্যমে গল্প তৈরি করল।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Ipac, #Prashant Kishor, #Mamata Banerjee, #abhishek banerjee, #tmc

আরো দেখুন