দেউচা-পাঁচামি কয়লা প্রকল্পের জন্য জমি কেনা শুরু করল পিডিসিএল
দেউচা-পাঁচামি (Deucha Pachami) কয়লা প্রকল্পের জন্য বুধবার থেকে জমি কেনা শুরু করল বরাত পাওয়া পিডিসিএল। সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর পি বি সেলিমের উপস্থিতিতেই সিউড়িতে এদিন এই কাজ শুরু হয়। পিডিসিএলের গেষ্ট হাউসে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেন তিনি। সেখানে প্রস্তাবিত কয়লা প্রকল্প নিয়ে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান হয় সংস্থার পক্ষ থেকে। বৈঠক শেষে জেলাশাসক বিধান রায় জানান, প্রথম পর্যায়ের প্রস্তাবিত এলাকা থেকে এদিন বেশ কয়েকজন জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে সিউড়ি এসেছিলেন। তাদের মধ্যে থেকে এদিন ১৬ জনের কাছ থেকে জমি নিতে পেরেছে পিডিসিএল। এবার জমি কেনা ধারাবাহিকভাবে চলবে বলে জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে।
মহম্মদবাজার এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের দেউচা-পাঁচামি কয়লা খনি নিয়ে লাগাতার অপপ্রচার করছে। বহিরাগত বেশ কিছু সংগঠন প্রস্তাবিত এলাকায় গিয়ে পিডিসিএলকে জমি বিক্রি না করার জন্য চাপ দিচ্ছে। বুধবারও প্রস্তাবিত এলাকায় খনি বিরোধী মিছিল করে বহিরাগতরা। করোনাকালে যে আদিবাসীদের টিকাকরণের জন্য প্রশাসনকে নাজেহাল হতে হয়েছিল, গত কয়েকদিন ধরে তাঁরাই এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিছিলে আসার জন্য হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকি জোর করে পাথর খাদান ক্র্যাসার বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সেই পরিস্থিতিতে প্রস্তাবিত এলাকা থেকে স্বেচ্ছায় জমি দিতে আসাকে স্বাগত জানিয়েছেন পি বি সেলিম। উল্লেখ্য, বুধবার পর্যন্ত ১৮০০ জন তাঁদের দখলে থাকা জমি কয়লা খনির জন্য দিতে চেয়ে জেলা প্রশাসনের সম্মতিপত্রে সই করেছেন। জেলা প্রশাসনের এই অগ্রগতিকে সক্রিয় প্রশাসন বলে উল্লেখ করেছেন পিডিসিএল কর্তারা। এদিনের পর থেকে জমি কেনার কাজ নিয়মিত চলবে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে।
তবে যারা জমির পরিবর্তে প্যাকেজ হিসাবে চেক ও চাকরির নিয়োগপত্র পেয়েছেন তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। নিয়োগপত্র পেলেও তারা কবে কাজে যোগ দেবেন তা জানতে পারছেন না। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ নিয়ে এদিন তাদের সঙ্গে কথা হয়। জমিদাতাদের জানান হয়েছে, নিয়োগপত্র দিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। এবার তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তার সঙ্গে জমি রেজিস্ট্রির কোনও সম্বন্ধ নেই। মুখ্যমন্ত্রী কথা দিলে তিনি তা রাখেন এটা তার উদাহরণ।