১৫ই মার্চ দিল্লিতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা
উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যের বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে সোমবার। আর সেই সমীক্ষা পাঞ্জাবে তো বটেই, বাকি চার রাজ্যেও বিজেপির জন্য বিশেষ স্বস্তির কোনও ইঙ্গিত দিচ্ছে না। কার্যত গলদঘর্ম অবস্থা গেরুয়া শিবিরের। এই পরিপ্রেক্ষিতেই বিজেপি তথা গেরুয়া শিবিরের জন্য অস্বস্তি বাড়তে চলেছে। কারণ পাঁচ রাজ্যের বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল সামনে আসতেই বিজেপি বিরোধী আন্দোলন আরও তীব্র করার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার অব্যবহিত পরেই দিল্লিতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা।
কাল, বৃহস্পতিবার পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী ১৫ মার্চ তারা দিল্লিতে জরুরি বৈঠকে বসবে। মোদী বিরোধী আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচির রূপরেখাই স্থির হবে ওই বৈঠকে। এমনই জানিয়েছে আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনগুলি। গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের আগে ‘মিশন উত্তরপ্রদেশ’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। যে কর্মসূচির মূল উপজীব্যই ছিল, উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি যাতে পরাজিত হয়, তা সুনিশ্চিত করতে হবে। আন্দোলনকারী কৃষকরা স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, বিজেপি যে কৃষক-বিরোধী অবস্থান নিয়েছে, তার প্রেক্ষিতে বিজেপিকে শাস্তি দেওয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে। গেরুয়া শিবিরকে সেই শাস্তি দিতে হবে ভোটবাক্সের মাধ্যমেই।
মঙ্গলবার সারা ভারত কিষান সভার সাধারণ সম্পাদক তথা সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার অন্যতম শীর্ষ নেতা হান্নান মোল্লা বলেন, ‘আপাতত স্থির হয়েছে, আগামী ১৫ মার্চ দিল্লির গান্ধী পিস ফাউন্ডেশনে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার বৈঠক হবে। বিজেপি এবং মোদী বিরোধিতায় কৃষকরা কীভাবে এগবেন, তা স্থির হবে ওইদিনের বৈঠকেই।’ দিল্লির সীমানাগুলি থেকে আন্দোলন স্থগিতের পর গত ১৫ জানুয়ারি সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার প্রথম বৈঠক হয়েছিল দিল্লিতেই। ওই বৈঠকেই কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ তুলে জানুয়ারি মাসের শেষে দেশজুড়ে বিশ্বাসঘাতক দিবসের ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। আগামী ১৫ মার্চের বৈঠকে দেশব্যাপী এমনই কোনও কর্মসূচি নেওয়া হতে পারে বলে কৃষক সংগঠনগুলি সূত্রের খবর। তবে এক্ষেত্রে একদিনের কোনও কর্মসূচি নেওয়া হবে, নাকি ফের লাগাতার আন্দোলনের পথেই হাঁটা হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পাচ্ছে গেরুয়া শিবিরের রক্তচাপ।